সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগীমৃত্যুর অভিযোগ। এবারও কাঠগড়ায় কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতাল। অভিযোগে মৃতের পরিবার রীতিমতো তাণ্ডব চালায়। এমনকী এই ঘটনার জন্য বিপুল অঙ্কের ক্ষতিপূরণও দাবি করেছে তারা। পরিস্থিতি সামলাতে নামানো হয় ব়্যাফ।
[শীতের উষ্ণতম দিনের সাক্ষী শহরবাসী, ঠান্ডা কি তবে বিদায় নিল?]
ঘটনাস্থল নিউ আলিপুর স্টেশন সংলগ্ন বেসরকারি হাসপাতাল। কৃষ্ণ দাস নামে রোগীর মৃত্যু ঘিরে উত্তাল হয় হাসপাতাল। রোগীর পরিবারের দাবি চিকিৎসার গাফিলতিতেই এই ঘটনা। রোগীর অবস্থা অবনতি হতে থাকায় তার পরিজনেরা বারবার রিসেপশনে গিয়ে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে। কিন্ত রিসেপশন থেকে ডাক্তারের নম্বর দিয়েই দায় সারে। আর ডাক্তারকে ফোন করে সাহায্য চাওয়া হলে তিনি কোনওরকম তাপ উত্তাপ দেখাননি বলে অভিযোগে। শেষ পর্যন্ত রোগীর মৃত্যু হলে রোগীর পরিবারের লোকজন মেজাজ হারান। তাঁদের রোষ আছড়ে পড়ে হাসপাতালের রিসেপশনে। সেখানে চলে ভাঙচুর। রোগীর পরিবারের তাণ্ডবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন অন্যান্য রোগীরা। হাসপাতাল থেকে স্থানীয় থানায় ফোন করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে রোগীর পরিবারের করা তাণ্ডবে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হাসপাতালের রিসেপশন এবং রিসেপশনের পাশেই রাখা প্রতিবন্ধীদের চেয়ারগুলি একেবারে ধুলিসাৎ হয়ে গেছে। ঘটনাস্থলে যায় স্থানীয় থানার পুলিশ। কিন্ত পুলিশের হস্তক্ষেপেও বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তখন বাধ্য হয়ে ওই এলাকায় ব়্যাফ নামানো হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও, উত্তেজনা রয়েছে। তবে ভাঙচুরের পাশাপাশি রোগীর পরিজনেরা গাফিলতির অভিযোগে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে ২৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের দাবি করেছেন। রোগীর পরিজনের এমন পদক্ষেপ সচরাচর যা নজরে পড়ে না।
[টিকিট কেটেও ঠকছেন মেট্রোর যাত্রীরা, উঠছে দুর্নীতির অভিযোগ]
রোগীর পরিবারের এই দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আদৌ মানবে কিনা তা অবশ্য জানা যায়নি। তবে এই ঘটনায় অনেকেই আমরি হাসপাতালের ছায়া দেখছেন। একদিকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে গাফিলতির ঘটনা সামনে এসেছে। এক বিভাগ থেকে অন্য বিভাগে নিয়ে যাওয়ার সময় ট্রলির পায়া ভেঙে এক রোগীর শিরদাঁড়া ভাঙে বলে অভিযোগ।
[মুখ্যমন্ত্রীর ডি লিট ইস্যুতে জনস্বার্থ মামলা খারিজ কলকাতা হাই কোর্টের]