তনুজিৎ দাস: শুরুতেই তাল কাটল। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই দলের রাজ্য নেতৃত্বের উপর ক্ষোভে ফেটে পড়লেন অধ্যাপিকা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির রাজ্য নেতারা তাঁকে অপমান করেছে বলে অভিযোগ বৈশাখীদেবীর। পরিস্থিতি এমনই যে, আজ বিজেপি দপ্তরে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি যাবেন না বলেও মনস্থির করেছিলেন মিল্লি আল আমিন মিশনের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষা। যদিও, শেষপর্যন্ত শোভনবাবুর অনুরোধে তিনি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: পুলিশের ‘মার খেয়ে’ হাজতে আংশিক সময়ের অধ্যাপকরা, বেতন বাড়ালেন মমতা]
গত সপ্তাহেই দিল্লির বিজেপি দপ্তরে গিয়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান শোভন চট্টোপাধ্যায়, এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তাদের দলে স্বাগত জানান খোদ বিজেপির কার্যকরী সভাপতি জে পি নাড্ডা। কিন্তু, এক সপ্তাহের মধ্যে কী এমন ঘটল যে বৈশাখীদেবী এতটা রেগে গেলেন? আসলে, বিজেপি দপ্তরে সদ্য দলে যোগ দেওয়া শোভন চট্টোপাধ্যায়কে সংবর্ধনা দেওয়া হবে, এই শীর্ষক দুটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য বিজেপির নেতারা। মঙ্গলবার অর্থাৎ আজই এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। কিন্তু, মুশকিল হল প্রথমে যে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল, তাতে নাম ছিল না বৈশাখী দেবীর। তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া তো দূরের কথা আমন্ত্রিতদের তালিকাতেও তাঁর নাম ছিল না। যা প্রচণ্ড অপমানজনক বলে মনে করছেন বৈশাখী দেবী। এতটাই যে, এদিনের অনুষ্ঠান তিনি বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলেও সূত্রের খবর।
[আরও পড়ুন: জনতার মন বুঝতে নিজেই আসরে মমতা, হাওড়ায় বৈঠকের আগে বসতি ঘুরে শুনলেন অভিযোগ]
অপমানিত বৈশাখীদেবী নিজের ক্ষোভের কথা শোভনবাবু এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানান। অবশেষে, বিজেপির রাজ্য নেতারা ভুল সংশোধন করে নেন। এবং নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। বিজেপি রাজ্য দপ্তরের তরফে জয়প্রকাশ মজুমদার বৈশাখীদেবীকে ফোনও করেন বলে সূত্রের খবর। বিজেপির তরফে বিতর্ক ধামাচাপা দিতে আসরে নামেন খোদ রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “শোভনদা আর বৈশাখীদি তো ডাল আর ভাতের মতো। আলাদা করে নাম লেখার কিছু নেই। তবে, লেখা উচিত ছিল।” বিজেপি সূত্রের খবর, এই ভুল অনিচ্ছাকৃত বলে বৈশাখীদেবীর কাছে ক্ষমা চাওয়া হয়েছে। সম্ভবত তাতেই মানভঞ্জন হয়েছে অধ্যাপিকার।
শেষপর্যন্ত অবশ্য, শোভনবাবুর অনুরোধেই বৈশাখীদেবী বিজেপির রাজ্যদপ্তরে পা রাখেন তিনি। এবং তাদের সংবর্ধনা দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।