Advertisement
Advertisement

Breaking News

‘এত দায়িত্বজ্ঞানহীন হলাম!’ বাবা-মা করোনা আক্রান্ত হওয়ায় অনুতাপ বালিগঞ্জের যুবকের

রাজ্যে দ্বিতীয় করোনা আক্রান্ত লন্ডন ফেরত এই যুবক।

Ballygaunj youth suffering from Corona, repents for his irresponsibility
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:March 23, 2020 11:28 am
  • Updated:March 23, 2020 5:40 pm

গৌতম ব্রহ্ম: বাড়ি থেকে ‘মন পসন্দ’ নিরামিষ খাবার এসেছে। তবু মন ভাল নেই রাজ্যের দ্বিতীয় করোনা আক্রান্ত যুবকের। ক্ষণে ক্ষণে আক্ষেপ ঝরে পড়ছে গলায়, “কেন বিমানবন্দর থেকে বাড়ি গেলাম? কেন সরসারি আইডি’তে এসে ভর্তি হলাম না?”

সপ্তাহখানেক আগে লন্ডন থেকে কলকাতায় ফিরেছিলেন। কিন্তু প্রশাসনের পরামর্শমতো হোম কোয়ারেন্টাইনে না গিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন পাড়ার দোকান, কালীঘাটে নিজেদের শো-রুমে। মিশেছেন অগুনতি মানুষের সঙ্গে। এমনকী দক্ষিণ কলকাতার একটি মলেও তাঁকে দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ। বালিগঞ্জের ব্যবসায়ী পরিবারের ছেলেটির দুই সহপাঠী,বন্ধু COVID-19 পজিটিভ হয়েছিলেন। তাঁরা একসঙ্গেই বিমানে লন্ডন থেকে কলকাতায় ফিরেছিলেন। শেষে প্রতিবেশীদের চাপে আইডি’তে যান সেই যুবক। রিপোর্ট পজিটিভ হয়। বিপদ এড়াতে পরিবারের এগারো জন সদস্যকে রাজারহাটের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। বাবা,মা ও বাড়ির পরিচারিকার শরীরে করোনার উপসর্গ ধরা পড়ে। তিনজনকেই আইসোলশেন নিয়ে সোয়াব টেস্ট হয়। রবিবার বাবা, মা ও বাড়ির পরিচারিকার রিপোর্ট আসে। দেখা যায়, তিনজনই COVID-19 পজিটিভ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বিকেল থেকে লকডাউন, রসদ সংগ্রহে সকালেই বাজারমুখো আমজনতা]

রাজ্যের প্রথম করোনা আক্রান্ত এক আমলাপুত্রের ক্ষেত্রেও একই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে তোলপাড় প্রশাসন থেকে আমজনতার অন্দরমহল। সেই যুবকও ভরতি আইডি-২ ওয়ার্ডে। কিন্তু সেই যুবকের মনে এতটুকু অনুশোচনা নেই। মোবাইল ঘেঁটে, বই পড়ে সে দিব্যি কাটিয়ে দিচ্ছে আইসোলেশন পিরিয়ড। বালিগঞ্জের যুবকের ক্ষেত্রে ঠিক উলটো। তিনি একেবারেই অবশ্য ভেঙে পড়েছেন। বললেন, “আমার জন্যই বাবা,মা নোভেল করোনায় আক্রান্ত হলেন। কেন এত দায়িত্বজ্ঞানহীন হলাম?” বালিগঞ্জের ওই আবাসনে বাসিন্দা রয়েছে কম করে ২৫০ জন। ড্রাইভার, কাজের লোক মিলিয়ে সংখ্যাটা আরও বেশি। সবাই এখন বিপদের মুখে। এদিন বাবা, মা, পরিচারিকার রিপোর্ট পজিটিভ আসতেই আবাসিকদের মধ্যে আতঙ্ক আরও চেপে বসে। আইডি’র অধ্যক্ষ ডা. অনিমা হালদার জানালেন, “পজিটিভ হওয়া রোগীরা সবাই স্থিতিশীল। ভাল আছেন। হাসপাতালের খাবারই খাচ্ছেন, সবার কাছেই মোবাইল আছে। দ্বিতীয়জন এদিন বাড়ি থেকে আনা নিরামিষ খাবার খেয়েছেন।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: বন্দিদের সংঘর্ষে ফের উত্তাল দমদম সেন্ট্রাল জেল, চলল গুলি]

যদিও স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রের খবর, আইডি-২ ওয়ার্ডে ভরতি থাকা তিনজনের মধ্যে দু’জনই খাবার নিয়ে স্বাস্থ্যভবনে অভিযোগ করেছেন। জানিয়েছেন, খাবারের মান ভাল নয়। তাঁরা খেতে পারছেন না।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ