Advertisement
Advertisement
Bangladesh

ব্যবসায়িক বখরা নিয়ে ঝামেলা, কলকাতায় বসেই খুনের ছক! বাংলাদেশের সাংসদ হত্যায় নয়া তথ্য

পুলিশ সূত্রে আরও জানা যাচ্ছে, মার্কিন প্রবাসী জনৈক শাহিনের কথায় খুন করা হয়েছে ঝিনাইদহের সাংসদকে। উভয়ের মধ্যে সোনা পাচারের বখরা নিয়ে ঝামেলা ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। ৪ থেকে ৫ কোটি টাকা নিয়ে ঝামেলার জেরে খুন বলে প্রাথমিক ধারণা তদন্তকারীদের।

Bangladesh MP killing: New clue in this case, murderers accused to make plan in Kolkata linked to share of illegal business

ফাইল ছবি।

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:May 23, 2024 4:14 pm
  • Updated:May 23, 2024 4:18 pm

অর্ণব আইচ: কলকাতায় চিকিৎসা করাতে এসে বাংলাদেশি সাংসদের রহস্যজনক হত্যাকাণ্ডে পরতে পরতে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তিনি কলকাতায় আসার অনেক আগেই এই শহরে এসে ডেরা বেঁধেছিল হত্যাকারীরা, খুনের পর তারা দেহ লোপাটের ব্যবস্থা করেই সীমান্ত পেরিয়ে পালিয়ে যায় বলে জানা যাচ্ছে। মূলত ব্যবসায়িক বখরা নিয়ে জনৈক মার্কিন প্রবাসী শাহিনের সঙ্গে সাংসদের গন্ডগোল ছিল। তার জেরেই সাংসদ আনোয়ারুল আজিম খুন হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তবে তদন্তে নেমে সিআইডি (CID) সমস্ত পাকাপোক্ত তথ্যপ্রমাণ হাতে পেতে মরিয়া।

গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় (Kolkata)আসেন বাংলাদেশের ঝিনাইদহের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম। আর পরেরদিন, ১৩ মে রাতে নিউটাউনের (New Town) ফ্ল্যাটে তাঁকে খুন করা হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, খুনের পর দেহ সারারাত ফ্রিজে রাখা হয়েছিল। পরে দেহটি ট্রলিতে ভরে নিউটাউন থেকে গাড়ি বদল করে খুনিরা পৌঁছয় রাজারহাটে অ্যাক্সিস মলের কাছে। নজরুল তীর্থের কাছে কোথাও ট্রলিভর্তি দেহটি ফেলে দেওয়া হয়। তার পর খুনিরা আরেকটি গাড়ি নিয়ে বনগাঁ (Bongaon)সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে যায়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ভোটের আগে জ্বলে উঠল নন্দীগ্রাম, কাঁথির জনসভা থেকে ‘বদলা’র হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর]

পুলিশ সূত্রে আরও জানা যাচ্ছে, মার্কিন (US) প্রবাসী জনৈক শাহিনের কথায় খুন করা হয়েছে ঝিনাইদহের সাংসদকে। উভয়ের মধ্যে সোনা পাচারের বখরা নিয়ে ঝামেলা ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। ৪ থেকে ৫ কোটি টাকা নিয়ে ঝামেলার জেরে খুন (Killing) বলে প্রাথমিক ধারণা তদন্তকারীদের। তাঁরা আরও জানতে পেরেছেন, আনোয়ারুল কলকাতায় চিকিৎসা করাতে আসছেন, সেই খবর পাওয়ামাত্রই হত্যাকারীরা ছক কষতে শুরু করে। তারা কলকাতায় আসে ৩০ এপ্রিল। ভিআইপি রোডের ধারে একটি হোটেলে ঘাঁটি গেড়ে সেখানেই হত্যার নীল নকশা (Blue print) তৈরি হয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ভোটের মরশুমে মিষ্টিতেও রাজনীতি! দেদার বিকোচ্ছে ঘাসফুল-পদ্মফুল-কাস্তে হাতুড়ি সন্দেশ]

এর পর ১৩ তারিখ রাতে আনোয়ারুলকে বরানগরে বন্ধুর বাড়ি থেকে সেই নিউটাউনে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। এবং তার পর পরিকল্পনামাফিক খুন। তবে ভারতে এসে বাংলাদেশের সাংসদের (Member of Parliament) খুন হয়ে যাওয়ার ঘটনায় এখনও অনেক জটিলতা রয়েছে। সেসবের জবাব পেতে মরিয়া তদন্তকারীরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ