অভিরূপ দাস: মারা গিয়েছেন সাধারণ শ্বাসকষ্টে। এমনটাই জানিয়েছিল নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ। মৃত্যুর পর খবর এল রোগী নাকি করোনা পজিটিভ! এদিকে আর পাঁচজনের মতোই সাধারণ সৎকার হয়েছে তাঁর! কারণ, তখন তো রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল। এবার প্রশ্ন উঠছে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মৃতদেহ থেকে কারও করোনা ছড়ায়নি তো?
বেশ কিছুদিন ধরেই জ্বর ও সর্দি-কাশিতে ভুগছিলেন সুভাষগ্রামের সঞ্জয় সেন (৪৩)। গত ২১ জুন শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়াতে তাঁকে স্থানীয় সুভাষগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা লালারসের নমুনা সংগ্রহ করেন। বাড়ি ফিরে আসেন সঞ্জয়বাবু। এসে শ্বাসকষ্ট দ্বিগুণ হয়। খাবি খাচ্ছিলেন। বেগতিক দেখে কোনওরকমে অ্যাম্বুল্যান্স যোগার করে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যায় তাঁকে সেন পরিবার। করোনার সমস্ত উপসর্গই ছিল। সেখানে ফের একবার লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ২৩ জুন নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজের রিপোর্ট আসে। দেখা যায় রোগী কোভিড নেগেটিভ। স্বস্তি পায় পরিবার। কিন্তু শ্বাসকষ্ট কিছুতেই কমছিল না সঞ্জয়বাবুর।
[আরও পড়ুন: বাংলার অর্থনীতির স্বার্থে পরামর্শ দিন, অমিত মিত্রকে চিঠি দিলেন বিজেপি সাংসদ]
২৪ জুন দুপুর ১টা ১৫ নাগাদ মারা যান তিনি। ডেথসার্টিফিকেটে কোভিডের উল্লেখও নেই। দিন দুয়েক পরের ঘটনা। প্রয়াত সঞ্জয়বাবুর দাদা মলয় সেন জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যভবন থেকে কিছু লোক এলাকায় আসে। মলয়বাবুর কথায়, “ওরা ভাইকে খুঁজছিল। আমরা বলি, ভাই তো মারা গিয়েছে। তা শুনে ওরা চমকে যান। কারণ জিজ্ঞেস করতে বলেন, নাইসেড থেকে ভাইয়ের রিপোর্ট এসেছে। সেখানে লেখা ও করোনা পজিটিভ!”
এই খবর শুনেই হতচকিত সেন পরিবার। তাদের কথায়, “নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ জানিয়েছিল, সাধারণভাবে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু। আমরা তাই সাধারণভাবেই সৎকার করেছি। অনেকেই তো ওই মৃতদেহের সংস্পর্শে এসেছিল।” কী করে দু’জায়গায় দু’রকমের রিপোর্ট এল তাই নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।