সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিনিয়োগকারীদের গন্তব্য এখন বাংলা। বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটের সূচনায় তা স্পষ্ট করে দিলেন দেশের তাবড় শিল্পপতিরা। মুকেশ আম্বানি থেকে লক্ষ্মী মিত্তল বা সজ্জন জিন্দাল। প্রত্যেকেই একসুরে জানিয়ে দিলেন এবাংলা বদলে গিয়েছে।
[জিন্দালদের সিমেন্ট কারখানার সূচনা, বাসিন্দাদের সহযোগিতার আহ্বান মুখ্যমন্ত্রীর]
রাজারহাটের কনভেনশন সেন্টার তাই আক্ষরিক অর্থে হয়েছিল চাঁদের হাট। আম্বানি, মিত্তল, জিন্দালদের পাশাপাশি উদয় কোটাক মাহিন্দ্রা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রর পাশে আলো করে বসেছিলেন শিল্পপতিরা। বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তাই মুকেশ আম্বানি জানিয়ে দেন, আজ বাংলা মানেই বাণিজ্য। এর জন্য অভিনন্দন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আম্বানির কথায় মুখ্যমন্ত্রীর জন্য ওয়েস্ট বেস্ট আজ বেস্ট বেঙ্গল হয়েছে। কন্যাশ্রীর সাফল্যের জন্য বাংলাকে কুর্নিশ জানান রিলায়েন্স চেয়ারম্যান। বক্তব্যের শুরুতে আম্বানি জানিয়ে দেন, যতবার তিনি কলকাতায় আসেন প্রতিবার নতুনভাবে শহরটাকে দেখেন। তাঁর চোখে ধীরে চলোকে বিদায় জানিয়েছে বাংলা। পরিকাঠামোর দিক থেকে এই রাজ্য তুলনাহীন। শিল্পক্ষেত্রে শান্তির পরিবেশ রয়েছে। রাজ্য শিল্প মানচিত্রে সামনের সারিতে চলে এসেছে। পরিকাঠামোর দিক থেকে তুলনাহীন। এখানেই প্রশংসায় থামেননি মুকেশ আম্বানি। রীতিমতো পরিসংখ্যান দিয়ে জানান একাধিক ক্ষেত্রে দেশ এমনকী মুম্বইয়ের থেকেও এগিয়ে রাজ্য। অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ সফলভাবে আয়োজনের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান রিলায়েন্স চেয়ারম্যান। পাশাপাশি তিনি জানান গত দু বছরে বাংলায় ১৫ হাজার কোটি টাকা লগ্নি করেছে রিলায়েন্স। এবছরের মধ্যে রাজ্যের সর্বত্র পৌঁছে যাবে জিও।
আম্বানির প্রশংসার রেশ দেখা গেল লক্ষ্মী মিত্তলর গলায়। এই স্টিল ব্যারনের সঙ্গে কলকাতার যোগ বহু পুরনো। সেন্ট জেভিয়ার্সে পড়াশোনা। তাই লক্ষ্মী মিত্তল জানান, কলকাতা তাঁর হৃদয়ে। বাংলায় শিল্পক্ষেত্রে সহযোগিতার আশ্বাস তিনি পেয়েছেন। রাজ্যে শিল্পের অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। উৎপাদন থেকে পরিকাঠামো। সব ক্ষেত্রেই সম্ভাবনার দরজা বাংলায় খোলা বলে মিত্তল মনে করেন। তাঁর সংযোজন রাজনৈতিক স্থিরতা, শিল্পক্ষেত্রে শান্তি খুব গুরুত্বপূর্ণ। মুখ্যমন্ত্রী এই প্রয়োজন ভালভাবে বুঝেঝেন। তার প্রভাব জিডিপিতে। দুর্নীতি এবং আমলাতন্ত্র ভালভাবে সামলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ই-গর্ভন্যান্স গতি পেয়েছে রাজ্যে। সোমবার শালবনিতে সিমেন্ট কারখানার উদ্বোধন হয়েছে। মঙ্গলবার শিল্প সম্মেলনে সজ্জন জিন্দালকেও মেজাজে পাওয়া গেল। জানিয়ে দিলেন শালবনিতে কারখানা তৈরিতে সবরকম সহযোগিতা পেয়েছেন। বাংলার মতো ভালবাসা কোথাও তিনি পাননি। অভুতপূর্ব পরিবর্তন এসেছে রাজ্যে। গলা উঁচু করে তিনি সবাইকে বাংলায় বিনিয়োগের জন্য আবেদন জানান। সম্মেলনে উপস্থিত শিল্পপতির এক বাক্যে জানিয়ে দেন বদলেছে বাংলা। এরাজ্যে বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এর কৃতিত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সম্মেলনে তিরিশটি দেশের প্রতিনিধি যা শুনে বুঝে গেলেন বাংলা এখন ঠিক কোথায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.