সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার আবেদন বুদ্ধিজীবীদের। বুধবার, কলকাতা প্রেস ক্লাবে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বিদ্বজ্জনেরা। নজরুল-রবীন্দ্রনাথের দেশে রানিগঞ্জের মতো ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। ধর্মীয় উন্মাদনায় বাংলার সম্প্রীতি কোনওমতেই নষ্ট হবে না বলে জানান তাঁরা।
[মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত রায়গঞ্জ, বিজেপির মিছিলে চলল গুলি-বোমা]
এদিন মঞ্চে উপস্থিতি ছিলেন শিল্পী শুভাপ্রসন্ন, গায়ক কবীর সুমন, ইতিহাসবিদ হোসেনুর রহমান, নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি, সুবোধ সরকার-সহ অনেকেই। এদিন জনতার কাছে সম্প্রীতি বজায় রাখার আবেদন জানান শুভাপ্রসন্ন। তিনি বলেন, “হানাহানি, সাম্প্রদায়িকতা বন্ধ হোক। আমরা বুদ্ধিজীবী নই আমরা কন্ঠজীবী। ভাললাগা, ভালবাসার জগতে থাকি আমরা।” এদিন নাম না করে ত্রিপুরার রাজ্যপাল তথাগত রায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। শোভাপ্রসন্ন বলেন, “সৃজনশীল কাজে যাঁরা জড়িত তাঁরা প্রত্যেকেই রূপান্তরকামী। তাই আমিও রূপান্তরকামী।” উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই কলকাতায় এসেছিলেন ত্রিপুরার রাজ্যপাল তথাগত রায়। পশ্চিমবঙ্গের বুদ্ধিজীবী ও সংবাদমাধ্যমের একাংশকে রূপান্তরকামী বলেন তিনি। এদিন তারই জবাব দিলেন শুভাপ্রসন্ন।
এদিন গায়ক কবীর সুমন বলেন, “এক জায়গায় ইমামের ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। অন্য জায়গায় ইমামের উপর হামলা করা হয়েছে। আসলে ওরা চাইছে মুসলিমদের খেপিয়ে তুলতে।” রাজ্যে সহিষ্ণুতার পরিবেশ নষ্ট হওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ইতিহাসবিদ হোসেনুর রহমান। তাঁর বক্তব্য, কিছু মানুষ গন্ডগোল করে, আর ভোগ করতে হয় সাধারণ মানুষকে। এই দেশ, এই রাজ্য রবীন্দ্রনাথ-নজরুলের। এখানে রানিগঞ্জের মতো ঘটনা উদ্বেগজনক। উল্লেখ্য, রাম নবমী উপলক্ষে আসানসোল ও রানিগঞ্জে ভয়াবহ সংঘর্ষ বাঁধে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় বহু মানুষ। তারপরই রাজ্যে ক্রমবর্ধমান অসহিষ্ণুতা নিয়ে মুখ খোলেন বিদ্বজ্জনেরা।
[খবর সংগ্রহে গিয়ে আক্রান্ত সংবাদমাধ্যম, কোচবিহারে বেধড়ক মারে আহত ৫ সাংবাদিক]