সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাইক বিক্রি করতে অনলাইন সংস্থায় যোগাযোগ। বাইক ঠিক আছে কিনা দেখার জন্য ক্রেতা টেস্ট ড্রাইভ করতে চাইলেন। গাড়ি দেখার নাম করে একেবারে ধাঁ। ২ মাস ধরে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে অভিযুক্তকে জালে তুলল রাজারহাট থানার পুলিশ। অভিনব পদ্ধতিতে বাইক চুরির পিছনে কারা জড়িত তার খোঁজ শুরু হয়েছে।
[হনুমানের মতো দেখতে ছাগলছানা, চতুষ্পদের অদ্ভুত দর্শনে মেলা লোক]
গত ৯ জানুয়ারি রাজারহাট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন শুভ মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি। তিনি জানুয়ারি মাসের গোড়ার দিকে তাঁর সেকেন্ডহ্যান্ড বাইকটি বিক্রি করতে চেয়েছিলেন। এজন্য শুভ ওএলএক্সে যোগাযোগ করেন। কিছু দিন পর একজন ফোন করে গাড়িটি কেনার জন্য আগ্রহ দেখায়। শাহনওয়াজ মোল্লা নামে এক ব্যক্তি বাইক কেনার জন্য বিরাটিতে শুভ মণ্ডলের বাড়ি যায়। নিয়মমাফিক শাহনওয়াজ গাড়িটি চালিয়ে দেখার কথা বলে। প্রথম দিন টেস্ট ড্রাইভ করে সে শুভর বিশ্বাস অর্জন করে। একদিন পর শাহনওয়াজ ফের শুভর কাছে যায়। তখন সে জানিয়েছিল বাইকটি একবার জোরে চালিয়ে দেখতে চায়। কারণ ইঞ্জিনের আওয়াজ ঠিকঠাক মনে হয়নি। দ্বিতীয় দিন ফের টেস্ট ড্রাইভের নাম করে ওই ব্যক্তি বেরিয়ে পড়ে। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ ফিরে না আসায় শুভ চিন্তায় পড়ে যায়। এরপর শাহনওয়াজের মোবাইল সুইচড অফ জানতে পেরে সে বুঝে যায় বাইকের আশা শেষ। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার এবং বাইক উদ্ধারে বিস্তর ঝামেলা পোহাতে হয় পুলিশকে। শেষ পর্যন্ত মোবাইল লোকেশনের সূত্র ধরে জালে তোলা হয় শাহনওয়াজ মোল্লাকে। মধ্যমগ্রাম থেকে বাইকটির হদিশ পায় পুলিশ। এদিন ধৃতকে বারাসত জেলা আদালতে পেশা করা হয়।
[ফোর জি-র যুগেও মোবাইলহীন গোটা গ্রাম! এখনও বার্তা দিতে হয় সশরীরে]
পুলিশ সূত্রে খবর রাজারহাট, শাসন, খড়িবাড়ি এলাকায় বাইক চুরি হলেও এধরনের ঘটনা প্রথম। বাইক চুরিতে যারা যুক্ত তারা বাংলাদেশে পাচার করে। তবে ওএলএক্সের মতো সংস্থার নাম করে এমন ছক দেখে অবাক তদন্তকারীরা। ধৃতকে জেরা করে এই চক্রের পাণ্ডাদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। শাহনওয়াজ বাইক চুরির পর দ্রুত জায়গা বদলাচ্ছিল। এমনকী নম্বর প্লেটও বদলে ফেলে।
[পুলিশ পিটিয়ে অভিযুক্তকে ‘ছিনতাই’ গ্রামবাসীদের, তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ]