কৃষ্ণকুমার দাস: বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কেন্দ্রে সভার ডাক দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। ১৯ মার্চ বিধানসভা অধ্যক্ষের কেন্দ্র পশ্চিম বারুইপুরে অভিযান হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাঁর কথায়, সোমবার বিধানসভা থেকে দুই বিজেপি বিধায়ককে ‘মার্শাল আউট’ এবং একজনকে সাসপেন্ডের প্রতিবাদে এই সভা। পালটা, খানিকটা উপহাসের সুরেই বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, “আপনাকে স্বাগত। আসুন, মঞ্চ-মাইক বেঁধে দেব।”
এদিন পাবলিক সার্ভিস কমিশন ইস্যুতে উত্তাল হয়ে ওঠে বিধানসভা। দুর্নীতির অভিযোগে স্লোগান দিতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। আলোচনার পরিবর্তে অশান্তি সৃষ্টি করে বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব বানচাল করে দেওয়ার ছক ছিল গেরুয়া শিবিরের। বারবার শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানান বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতে কর্ণপাত না করে অধ্যক্ষের দিকেই কাগজ ছুড়ে মারেন ফালাকাটার বিজেপি বিধায়ক দীপক বর্মন। হইহল্লা শুরু করেন বাকিরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে দু’জন বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ, মনোজ ওরাওঁকে মার্শাল দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। সাসপেন্ড করা হয় দীপক বর্মনকে। আর এতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে বিজেপি। শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে রাজভবন অভিযানের ডাক দেয় গেরুয়া শিবির।
এই ঘটনার পরই অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্র অর্থাৎ বারুইপুর পশ্চিমে সভার ডাক দেন তিনি। জানান, আগামী ১৯ মার্চ সেখানে সভা করবে বিজেপি। তবে বিষয়টাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, “আসুন, মঞ্চ-মাইক বেঁধে দেব।” একইসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস যে গণতন্ত্র এবং বিরোধী মতকে গুরুত্ব দেয় তা স্পষ্ট করে বিরোধী দলনেতাকে স্বাগত জানান অধ্যক্ষ। তবে রাজ্যজুড়ে বিজেপির বেহাল অবস্থা তুলে ধরে কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, স্থানীয়দের সমর্থন তো শূন্য। মঞ্চ বাঁধতে ওনাকে লোক আনতে হবে নন্দীগ্রাম থেকে। তার থেকে তিনিই মঞ্চের ব্যবস্থা করে দেবেন। তাতেও নাকি শুভেন্দুকে সভা ভরাতে লোক আনতে হবে নন্দীগ্রাম থেকে। উল্লেখ্য, রবিবারই ‘যাদবপুর চলো’ ডাক দিয়েছিল বিজেপি। সেখানে নন্দীগ্রাম থেকে ৩টি বাসে লোক আনা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তা নিয়ে খোদ বিজেপির অন্দরেই শুভেন্দুর সমালোচনা শোনা যায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.