রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: খানাকুলে বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। সোমবার সকালে রাজভবনে যান বিজয়বর্গীয়। সূত্রের খবর, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দু’জনের কথা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শনিবার একই জায়গায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের আয়োজন করে তৃণমূল ও বিজেপি। সেখানে পতাকা উত্তোলনের সময়ে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। তা গড়ায় হাতাহাতিতে। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, সংঘর্ষ চলাকালীন জেলা পরিষদের বিজেপি সদস্য সুদাম প্রামাণিকের উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে কয়েকজন। তাঁর মাথায় আঘাত করা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় সুদামকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। রবিবার এই ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে তৃণমূলকে খোঁচা দেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তিনি বলেন, “পুলিশের সামনে বিজেপি কর্মীকে খুন করা হয়েছে। নির্বাচনের সময় তৃণমূল সব কিছু করতে পারে।” যদিও খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন খানাকুল দু’নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি অসিত সিংহরায়।
[আরও পড়ুন: স্বামী-বাপের বাড়ির কাছে ‘অচ্ছুৎ’, করোনাজয়ী মহিলার ঠাঁই শেষপর্যন্ত হাসপাতালেই]
তার ঠিক একদিন পরেই অর্থাৎ সোমবার সকালে রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। রাজভবনে যাওয়ার আগে সকালে বড়বাজারে রাম ও সরদ কোঠারির বাড়িতে যান বিজেপি নেতা। রামমন্দির আন্দোলনে শহিদ রাম ও সরদ কোঠারি। তাদের বাড়িতে গিয়ে ছবিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান কৈলাস। দেখা করেন রাম ও সরদের বোন পূর্ণিমা কোঠারির সঙ্গে। এদিকে, দলের হেস্টিংস অফিসে শুরু হয়েছে সাংগঠনিক বৈঠক। যেখানে কৈলাস ছাড়াও রয়েছেন মুকুল রায়। মঙ্গলবার সকালে দিল্লি থেকে ফিরবেন দিলীপ ঘোষ। বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে দিলীপের বাড়িতে বৈঠক রয়েছে।