রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: ‘বাংলার মানুষ বিকল্প চাইছেন। নতুন দিশায় কি ধরনের রাজনীতি করা যায় তা ভাবার সময় এসেছে।’ রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে আজ এই মন্তব্যই করলেন বিজেপির রাজ্যসভা সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত।
শুক্রবার বিকেলে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আয়োজিত ওই আলোচনাসভায় স্বপনবাবু আরও বলেন, “এই রাজ্যে বিজেপিকে শুধু আন্দোলনের পার্টি হলেই চলবে না। খালি বিরোধিতা নয়। একটি বিকল্প নীতিও তৈরি করতে হবে। কৃষি, শিল্প, শিক্ষা ও তথ্যপ্রযুক্তি সব ক্ষেত্রেই কী ধরনের বিকল্প অর্থনীতি তৈরি করা যায় তা ভাবতে হবে।”
[আরও পড়ুন: ফিরে যাচ্ছেন ভিনরাজ্যের নার্সরা, করোনা আবহে সংকটে রাজ্যের চিকিৎসা পরিষেবা ]
অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেভেলপমেন্ট অফ বেঙ্গল আয়োজিত আলোচনাসভায় বিষয়বস্তু ছিল ‘কোভিড-১৯ এবং পশ্চিমবঙ্গের ভবিষ্যৎ’। সেখানে স্বপন দাশগুপ্ত ছাড়াও অংশ নেন বিশিষ্ট সাংবাদিক রন্তিদেব সেনগুপ্ত। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ছিলেন আইআইএম শিলংয়ের চেয়ারম্যান শিশির বাজোরিয়া। পশ্চিমবঙ্গের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বলতে গিয়ে এদিন রাজ্য সরকার ব্যর্থ বলে অভিযোগ করেন স্বপন দাশগুপ্ত। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও রাজনৈতিকভাবে আক্রমণ করেন তিনি।
প্রবীণ এই বিজেপি সাংসদের কথায়, করোনাকে হালকাভাবে নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ভেবেছিলেন এটা সাইক্লোন বা বন্যার মতো। কিছুদিন পরে চলে যাবে। এই সুযোগে রাজনৈতিক প্রভাব বাড়াতে ও বিরোধী দলকে কোণঠাসা করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, করোনা পরিস্থিতিতে রাজনৈতিকভাবে লাভবান হননি মুখ্যমন্ত্রী, বরং কোণঠাসা হয়ে গিয়েছেন।
করোনায় মৃতের তথ্য গোপন ও মৃতদেহ গোপনে পুড়িয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে রেশন দুর্নীতির বিষয় তুলে ধরে রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তোলেন বিজেপি সাংসদ। বিজেপি কর্মীদের প্রতি তাঁর পরামর্শ, এই সুযোগ আর আসবে না। কারণ, তৃণমূল ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। কী ধরনের বিকল্প মানুষ চাইছেন তাও ভাবতে হবে। তাঁর কথায়, আমরা যেন দলীয় রাজনীতির উর্দ্ধে উঠতে পারি।
আলোচনায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিশিষ্ট সাংবাদিক রন্তিদেব সেনগুপ্ত বলেন, ‘যে অর্থনৈতিক ধাক্কা আসতে চলেছে তা সামলানোটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু, অর্থনৈতিক সংকট সামাল দিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কোনও সঠিক দিশা নেই।’