Advertisement
Advertisement
বঙ্গ বিজেপিতে সংঘের প্রভাব

সংঘের আধিপত্য বাড়ল বঙ্গ বিজেপিতে, দক্ষিণবঙ্গের দায়িত্বে এলেন গুরুত্বপূর্ণ নেতা

ওড়িশা বিজেপিতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন মিতভাষী এই ব্যক্তি।

BJP ropes in RSS brain to handle South Bengal situation

অমিতাভ চক্রবর্তী

Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:December 24, 2019 3:41 pm
  • Updated:December 24, 2019 3:43 pm

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে গতকালই কলকাতায় মহামিছিল করেছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। উপস্থিত ছিলেন বিজেপি সর্বভারতীয় কার্যকরী সভাপতি জেপি নাড্ডা। মিছিলের বহর দেখে তিনি খুশি হয়েছেন বলেই খবর বিজেপির অন্দরমহলে। তবু বাংলায় দলের সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে সেই সংঘের উপরই ভরসা রাখছেন তিনি। আর তাই সোমবার মিছিলের ফাঁকেই বঙ্গ বিজেপির সহকারী সাধারণ সম্পাদক(সংগঠন) পদে অমিতাভ চক্রবর্তীকে দায়িত্ব দেওয়ার কথা রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়ে গেলেন তিনি।

বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন অমিতাভ চক্রবর্তী। আগে বাংলায় অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। পরে ওড়িশাতে বিজেপির সহকারী সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) হন। সেখানে সংগঠনকে শক্তিশালী করার বিষয়ে তাঁর যথেষ্ট অবদান আছে বলে স্বীকার করে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। আর তাঁর সেই কাজের পুরস্কার হিসেবেই এবার রাজ্য বিজেপিতে দায়িত্ব পেলেন তিনি। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘কেন মুসলিমদের বাদ দেওয়া হচ্ছে’, মহামিছিলের দিনই প্রশ্ন বিজেপি নেতা চন্দ্রকুমার বসুর]

 

Advertisement

এর আগে রাজ্য বিজেপির সহকারী সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন)-এর দায়িত্ব ছিলেন কিশোর বর্মন। মূলত উত্তরবঙ্গের দায়িত্বই দেওয়া ছিল তাঁকে। কিন্তু, এবার দক্ষিণবঙ্গের কাজকর্ম দেখাশোনার জন্য সহকারী সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আনা হল অমিতাভ চক্রবর্তীকে। এরা দু’জনেই রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সংগঠন সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের সহকারী হিসেবে কাজ করবেন।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, গত কয়েকমাস ধরেই মণ্ডল সভাপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বারবার প্রকাশ্যে এসেছে বঙ্গ বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্বের কাহিনী। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে মণ্ডল সভাপতি নির্বাচন নিয়ে খুব একটা সমস্যা না থাকলেও দক্ষিণবঙ্গের প্রচুর জায়গায় অশান্তি হয়। বিষয়টি চিন্তায় রেখেছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে। এরপর রাজ্যের তিনটি বিধানসভা উপনির্বাচনেও ৩-০ স্কোরে হেরে যায় বিজেপি। ফলাফল প্রকাশ্যে আসতেই এই ঘটনার পিছনে বঙ্গ বিজেপি নেতাদের উদাসীনতা ও অতিরিক্ত আত্মতুষ্টির মনোভাবকে দায়ী করেন নিচুতলার কর্মীরা। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি নিয়ে প্রচারে খামতি রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন।

[আরও পড়ুন: ‘পার্লামেন্টে যাওয়ার সময় নেই, ক্যারাম পেটাচ্ছে’, খেলা নিয়ে কটাক্ষ সাংসদ মিমিকে]

 

এরপর থেকেই শোরগোল শুরু হয়েছিল বিজেপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে। তার ফলস্বরূপ সংঘ মহলে মিতভাষী ও কাজের লোক বলে পরিচিত অমিতাভবাবুকে দলীয় সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আনা হল। এতে রাজ্য বিজেপিতে সংঘ নিজেদের কর্তৃত্ব বাড়াল। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ধীরে ধীরে রাজ্য বিজেপির সংগঠনে আরও নতুন মুখ নিয়ে আসবে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। নতুন বছরের শুরু থেকে রদবদল হবে রাজ্য কমিটিতেও।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ