Advertisement
Advertisement

Breaking News

BJP state president Dilip Ghosh Corona vaccination centre

‘রাজ্যে ভ্যাকসিন সিন্ডিকেট চলছে, যুক্ত সবাই’, ভুয়ো করোনা টিকাকরণ শিবির নিয়ে তোপ দিলীপের

সাংসদ হয়ে কীভাবে ওই ভুয়ো টিকাকরণ শিবির থেকে ভ্যাকসিন নিলেন মিমি, প্রশ্ন বিজেপি রাজ্য সভাপতির।

BJP state president Dilip Ghosh slams state government over fake corona vaccination centre। Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:June 24, 2021 10:12 am
  • Updated:June 24, 2021 10:12 am

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: করোনার টিকাকরণ শিবির খুলে জালিয়াতির অভিযোগ ঘিরে আপাতত তোলপাড় তিলোত্তমায়। ওই শিবির থেকে টিকা নিয়েছেন খোদ যাদবপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তীও। অনেকেই বলছেন, তার ফলে জালিয়াতি যে আরও কয়েকগুণ বেশি গুরুত্ব পেয়েছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এই ইস্যুতে এবার লাগল রাজনীতির রংও। ভুয়ো টিকাকরণ ইস্যুতে মুখ খুলে রাজ্য সরকারকেই কার্যত বিঁধলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।

বৃহস্পতিবার সকালে ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ভ্যাকসিন (Vaccine) প্রতারণা কাণ্ড নিয়ে মুখ খোলেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপি রাজ্য সভাপতির অভিযোগ, “রাজ্যে চলছে ভ্যাকসিন সিন্ডিকেট। যুক্ত সবাই।” মিমি চক্রবর্তী একজন সাংসদ হওয়া সত্ত্বেও কীভাবে ভুয়ো ভ্যাকসিনেশন সেন্টার থেকে টিকা নিলেন, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। ভুয়ো টিকাকরণ শিবির থেকে টিকা নিয়ে বহু মানুষের জীবন সংশয় হতে পারে বলেও আশঙ্কাপ্রকাশ করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মেলেনি রাজ্যপালের সায়, বিবৃতি জারি করে যাদবপুরের উপাচার্য পদে সুরঞ্জনের মেয়াদ বাড়াল রাজ্য]

মঙ্গলবার কসবার ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডে একটি টিকাকরণ শিবির চলছিল। সেখান থেকেই টিকা নেন যাদবপুরের তারকা তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। তবে ফোনে মেসেজ না আসায় সন্দেহ হয় তাঁর। সেই সূত্র ধরেই সামনে টিকাকরণ শিবিরের উদ্যোক্তা দেবাঞ্জন দেবের নাম। সে নিজেকে আইএএস (IAS) বলে পরিচয় দেয়। এছাড়াও নীল বাতি লাগানো কলকাতা পুরসভার গাড়িও ব্যবহার করত দেবাঞ্জন। কলকাতা পুরসভার লোগো লাগানো মাস্ক এবং স্যানিটাইজারও ওই টিকাকরণ শিবির থেকে বিলি করা হয়। মঙ্গলবার আটক করে রাতভর জেরা করা হয় তাকে। তারপরই পুলিশ জানতে পারে, দেবাঞ্জন ভুয়ো পরিচয় দিয়ে টিকাকরণ শিবিরের আয়োজন করেছে। সে তথ্য জানার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ এই ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে। টিকাকরণ শিবির থেকে গড়ে কমপক্ষে কয়েকশো মানুষ টিকা নিয়েছেন। তাঁরা আদৌ করোনার টিকা নিয়েছিলেন কিনা, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়। যদি করোনার টিকাই পেয়ে থাকেন শিবিরে আসা মানুষজনেরা, তবে টিকার জোগান কোথা থেকে পেলেন দেবাঞ্জন, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মমতার আপত্তি সত্ত্বেও বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসেই নন্দীগ্রাম মামলার শুনানি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ