Advertisement
Advertisement
Nabanna News in Bengali

‘বিজেপি রাজনৈতিক দল নয়, সন্ত্রাসবাদী’, নবান্ন অভিযানে অশান্তি নিয়ে প্রতিক্রিয়া ফিরহাদের

বিজেপির মিছিলে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার নিয়ে চিন্তিত মুখ্যমন্ত্রী, ভবানীভবনে ডিজিপির সঙ্গে বৈঠক।

Nabanna News in Bengali: BJP 'terrorists', not political party: Firhad Hakim says after agitation of Nabanna Abhiyaan by BJP Yuva Morcha | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:October 8, 2020 4:13 pm
  • Updated:October 8, 2020 9:46 pm

কৃষ্ণকুমার দাস ও ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: আশঙ্কা ছিলই। বিজেপি যুব মোর্চার নবান্ন অভিযান ঘিরে অশান্তি চরমে উঠতে পারে। সেটাই বাস্তবায়িত হল বৃহস্পতিবার দুপুরে। বেলা একটু গড়াতেই মিছিল আটকাতে শহরের সব প্রান্তে সক্রিয় হয়ে ওঠে পুলিশ। এরই মাঝে হাওড়া ময়দান থেকে নবান্নমুখী বিজেপির মিছিল থেকে মিলল অস্ত্র। আর তারপরই আরও বাড়ল আশঙ্কা। এই খবরে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) ঝাড়গ্রাম থেকে ফিরে প্রথমে নবান্নে ঢোকেন। সেখানে মিনিট পাঁচেক থাকার পরই চলে যান ভবানীভবনে। এ নিয়ে কথা বলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্রর সঙ্গে। এদিকে, বিজেপির অভিযান ঘিরে অশান্তি নিয়ে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) তাদের ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলে চিহ্নিত করেন।

বিজেপি যুব মোর্চার নবান্ন অভিযানে পুলিশি বাধা পেলে যে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হবে, সেই হুঁশিয়ারি আগেই দিয়েছিলেন বিজেপির ছোট, বড় স্তরের নেতারা। বাস্তবে হলও তাই। রাজ্য প্রশাসনের সদর দপ্তর ঘিরে জারি থাকা ১৪৪ ধারা ভেঙে যেভাবে এগোতে চাইলেন বিজেপি কর্মীরা আর তাতে পুলিশের বাধা পেয়ে যে পালটা প্রতিরোধে ঝাঁপিয়ে পড়লেন, তাতে অর্জুন সিংয়ের বলা ‘গেরিলা কায়দা’র হুঁশিয়ারিই যেন বাস্তবায়িত হয়ে উঠল। মিছিলে বলবিন্দর সিং নামে এক বিজেপি কর্মীর কাছ থেকে মিলল আগ্নেয়াস্ত্র, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, জখম পুলিশ কর্তা – দীর্ঘদিন পর এমন এক অশান্ত পরিস্থিতির সাক্ষী রইল মহানগর।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বিজেপির নবান্ন অভিযানে ধুন্ধুমার, গুরুতর অসুস্থ রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, ভরতি হাসপাতালে]

এ নিয়ে পুর ও নগোরন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, ”বিজেপি রাজনৈতিক দল নয়, সন্ত্রাসবাদীদের দল। বাংলার শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছে। এসব এখানে হবে না। অশান্তি আটকাতে যা যা করার, পুলিশকে বলেছি, সবরকম ব্যবস্থা নিতে। রাজনৈতিক দলের মিছিলে কখনও অস্ত্র থাকে না, স্লোগান থাকে, পোস্টার-ফেস্টুন থাকে।”

[আরও পড়ুন: কর্মরত অবস্থায় মৃতের চাকরি পাওয়া স্ত্রী-সন্তানের অধিকার নয়, রায়ে জানাল কলকাতা হাই কোর্ট]

নবান্ন অভিযানকারী বিজেপি সমর্থকদের যখন আটকাতে চাইছে পুলিশ, সেসময়ই নবান্নে প্রবেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মিনিট পাঁচেক তিনি ছিলেন নবান্নের নিচেই। উপরে নিজের দপ্তরে যাননি। চারপাশ দেখে নিয়ে পরিস্থিতির খোঁজখবর নিয়ে সেখান থেকে সোজা চলে যান ভবানীভবনে। রাজ্য পুলিশের ডিজির সঙ্গে সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। কীভাবে বিজেপির মিছিলে অস্ত্র এল, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেমন, এসব নিয়ে ডিজির কাছে জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement