ছবি: প্রতীকী
স্টাফ রিপোর্টার: প্রকাশ্যে মুখে নিন্দা-মন্দ করলেও বাংলার দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) প্রকল্প যে বেশ কার্যকর, সেটা ঘুরিয়ে একপ্রকার মেনেই নিল বঙ্গ বিজেপি। সদ্যই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত এই প্রকল্প কেন্দ্রীয় সরকারের স্বীকৃতি পেয়েছে। আসলে এই প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে রাজ্যের লক্ষ লক্ষ মানুষকে সরকারি সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকার। আর তাতেই চাপে পড়ে গিয়েছে বিজেপি (BJP)। মুখে তারা এই প্রকল্পের সমালোচনা করলেও সেই দুয়ারে সরকার মডেলকেই অনুসরণ করার কৌশল নিচ্ছে গেরুয়া শিবির।
পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজ্যের দুয়ারে সরকারের মতো কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলো নিয়ে দুয়ারে শিবির খুলতে চায় বিজেপি। দলীয় বৈঠকে বঙ্গ বিজেপি নেতাদের এমনই পরামর্শ দিয়েছেন রাজ্যে দলের প্রধান পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল (Sunil Bansal)। সূত্রের খবর, শনিবার উত্তর কলকাতা সাংগঠনিক জেলার বৈঠকে নেতৃত্বকে তাঁর পরামর্শ, “কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন যোজনার সুযোগ সুবিধা মানুষকে পাইয়ে দিতে এলাকায় এলাকায় শিবির করুন।” এক রাজ্য নেতার কথায়, দুয়ারে সরকার প্রকল্পের মতোই কেন্দ্রীয় প্রকল্প দুয়ারে পৌঁছে দিতে শিবির করতে বলেছেন বনসল। ওই শিবির থেকেই কেন্দ্রীয় যোজনার ফর্ম ফিলাপ করাতে বলেছেন।
‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ চালুর পর তড়িঘড়ি করে গ্রামে চলো’র ডাক দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। আর এবার তৃণমূল (TMC) সরকারের ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পকে অনুসরণ করছে তারা। সারা দেশে সম্মানিত হয়েছে রাজ্য সরকারের দুয়ারে সরকার প্রকল্প। কেন্দ্রের দেওয়া প্ল্যাটিনাম ডিজিটাল পুরস্কারে সম্মানিত পশ্চিমবঙ্গ। একের পর এক রাজ্যের প্রকল্প কেন্দ্রীয় স্বীকৃতি পাচ্ছে। তখন প্রতিদিনই রাজ্যের প্রকল্পের সমালোচনায় মুখর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) থেকে শুরু করে বিজেপি নেতারা। প্রকাশ্যে বিজেপি নেতারা এর সমালোচনা করলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দুয়ারে সরকার প্রকল্পের জনপ্রিয়তা যে তাদের ঘুম কেড়ে নিয়েছে এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তাই দুয়ারে সরকারকে অনুসরণ করে কেন্দ্রীয় প্রকল্প নিয়ে মাঠে নামার কৌশল নিতে হল গেরুয়া শিবিরকে।
এদিকে, উত্তর কলকাতা জেলার বৈঠকে এদিন সংগঠন নিয়েও কড়া বার্তা দিয়েছেন সুনীল বনসল। তিনি বলেন, কাজের দায়িত্ব সকলকে ভাগ করে দিতে হবে। কেউ কাজ করতে না চাইলে সেই নেতাকে কোনও দায়িত্বে থাকার দরকার নেই। এদিন বৈঠকে বনসল ছাড়াও ছিলেন সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, রাজ্য নেতা দীপাঞ্জন গুহ, দীনেশ পাণ্ডে প্রমুখ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.