স্টাফ রিপোর্টার: দলের সাংগঠনিক বৈঠকে ফের শাসকদলকে হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ বললেন, “মার আর বিশেষ খাব না৷ যেখানে ক্ষমতা আছে সেখানে পাল্টা মার দেব৷ যারা যুক্তি বোঝে যুক্তি, যারা শক্তি বোঝে শক্তি–এরকমই দরকার আছে৷” মঙ্গলবার দলীয় এক বৈঠকে এই কথা বলে দলের নেতা-কর্মীদের মনোবল বাড়াতে চেষ্টা করেছেন বিজেপি সভাপতি৷ এদিকে, দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উপর কোথাও হামলার ঘটনা ঘটলে তা মনিটরিংয়ের জন্য এদিন রাজ্য বিজেপির গঠিত ছয় সদস্যের সংঘর্ষ নিবারণ কমিটিতে রাজ্য নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে নেওয়া হলেও রাখা হল না মহিলা মোর্চার সভানেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে৷ রূপাকে গুরুত্বপূর্ণ এই কমিটিতে স্থান না দেওয়ায় দলে জল্পনা শুরু হয়েছে৷
মঙ্গলবার কলকাতায় অনুষ্ঠিত রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকে বিভিন্ন জেলায় রাজনৈতিক সংঘর্ষের বিষয়গুলি আলোচনায় উঠে আসে৷ দিলীপ ঘোষ এদিন নেতা-কর্মীদের আশ্বাস দিয়ে বলেন, “বিজেপি নেতৃত্ব কর্মীদের পাশেই থাকবে৷ হাজরায় দলের আইন অমান্যে আমি, রাহুলদাও রাস্তায় বসেছি৷ কর্মীরা এটাই দেখতে চান৷”
এদিকে, আক্রান্ত দলীয় মহিলা সমর্থককে দেখে ফেরার পথে রবিবার কাকদ্বীপে হামলার মুখে পড়েন বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়-সহ জেলা নেতারা৷ জখম হয়েছিলেন বিজেপির দক্ষিণ ২৪ পরগনা (পশ্চিম) জেলার সভাপতি অভিজিৎ দাস৷ স্থানীয় পার্টি কর্মীদের ক্ষোভ, মিডিয়ার সামনে ঘটনার বিবরণ দেওয়ার সময় আহত জেলা সভাপতির নাম করেননি রূপা৷ এদিকে, সূত্রের খবর, কাকদ্বীপে আক্রান্ত সমর্থককে দেখতে যাওয়ার বিষয়ে রাজ্য নেতৃত্ব প্রথমে ঠিক করেছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল যাবে৷ পরে রূপা ঘটনাস্থলে যান৷ এটা নিয়েও জল্পনা দানা বাঁধে৷ এদিকে, দলীয় সমর্থকদের উপর আক্রমণ চলতে থাকলে ২৭ মে শপথ অনুষ্ঠান বয়কট করার ডাক দিয়ে রেখেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপি নেতৃত্ব জানান, পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে দল৷ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যে অশান্তি বন্ধ না হলে ২৭ মে-র বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে দল৷