অর্ণব আইচ: নিজের বাড়ি থেকে বৃদ্ধার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল শহর কলকাতার বেহালায়। ঘরের মেঝেতে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে বৃদ্ধার দেহ। খবর পেয়েই বেহালা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তের সন্ধানে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: নির্বাচনী খরচে দুর্নীতি নিয়ে সরব মমতা! সর্বদল বৈঠকের দাবিতে চিঠি মোদিকে]
বেহালার শিশির বাগানের বাসিন্দা ওই বৃদ্ধার নাম শুভ্রা ঘোষ দস্তিদার। অন্যান্যদিনের মতো বৃহ্স্পতিবার সকালেও নির্ধারিত সময়ে কাজে বেরিয়ে যান তাঁর ছেলে ও পুত্রবধূ। স্কুলে চলে যায় তাঁর নাতনিও। এরপর বাড়িতে একাই ছিলেন ওই বৃদ্ধা। বেলা ১১ টা নাগাদ কাজে যান তাঁদের পরিচারিকা। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকি করেও বৃদ্ধার সাড়া পাননি তিনি। এরপরই অন্য বাড়িতে কাজে চলে যান তিনি। দীর্ঘক্ষণ পর ফিরে আসেন। তখনও একাধিকবার ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশীদের গোটা বিষয়টি জানান।
এরপর তাঁদের সঙ্গে নিয়ে ফের শুভ্রাদেবীর বাড়িতে যান পরিচারিকা। সেই সময় কোনওক্রমে দরজা খুলে গেলে সকলে দোতলায় ওঠেন বৃদ্ধার খোঁজ করতে। তখন তাঁদের নজরে পড়ে ঘরের মেঝেতে উলটো অবস্থায় পড়ে রয়েছেন শুভ্রাদেবী। তাঁর গলায় গামছা জড়ানো এবং দেহের সামনে একটি চাদর রাখা। খবর পেয়ে বেহালা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।
জানা গিয়েছে, ঘটনার পর থেকেই হদিশ মিলছে না বৃদ্ধার মোবাইল ফোনের। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পরিকল্পনামাফিকই খুন করা হয়েছে শুভ্রাদেবীকে। ওই মহিলার এক প্রতিবেশী জানিয়েছেন, এদিন সকালে সকলে বেরিয়ে যাওয়ার পর শুভ্রাদেবীর খোঁজে একজন তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন। কিন্তু এরপর আর কী ঘটেছে, সে বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি ওই প্রতিবেশী মহিলা। পুলিশের অনুমান, হয়তো অজ্ঞাতপরিচয় কোনও ব্যক্তিই খুনের সঙ্গে জড়িত। অভিযুক্তের সন্ধানে ইতিমধ্যেই আশেপাশের বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।