Advertisement
Advertisement
Bonedi Barir Durga Puja

Bonedi Barir Durga Puja: ৩৩৯ বছরে পা শিবপুর রায়চৌধুরি পরিবারের পুজোর, বিসর্জনের পর দুর্গার মুকুট পরানো হয় গৃহদেবতাকে

স্বপ্নাদেশেই শুরু দুর্গাবন্দনা। সেই ঐতিহ্যবাহী পুজোর কাহিনি জানুন।

Bonedi Barir Durga Puja: Shibpur Roy Chowdhury family Durga Puja for 339 years | Sangbad Pratidin
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:October 6, 2023 8:54 pm
  • Updated:October 7, 2023 1:10 pm

অরিজিৎ গুপ্ত: রাজা স্বপ্নে আদেশ পান, দেবী দুর্গা রাজকন্যার বন্ধুরূপে রোজ দুপুরে বালি পুকুরে তাঁর সঙ্গে খেলা করেন। তাঁর পুজো যেন শিবপুরের রায়চৌধুরি পরিবারে হয়। সেই ঐতিহ্যবাহী পুজোর কাহিনি এবার সংবাদ প্রতিদিন ডট ইন-এর ‘দেবীপক্ষ’তে।

রাজবাড়ির কাছেই শিবপুরের বালি পুকুরে রোজ দুপুরে একটি মেয়ের সঙ্গে খেলা করতেন রাজকন্যা। খেলা শেষে পুকুরে নেমে স্নানও করতেন। একদিন শিবপুরের রাজা রামব্রহ্ম রায়চৌধুরি মেয়ের এই কীর্তিকলাপ জানতে পেরে ভীষণ রেগে যান। কে সেই খেলার সঙ্গিনী যে রাজকন্যাকে রোজ দুপুরে ডেকে নিয়ে যায়। পুকুরে স্নান করতে বলে। কোথায় থাকে সেই সঙ্গিনী? তার সাহস হয় কী করে দুপুরবেলা রাজকন্যার সঙ্গে পুকুরে স্নান করার আর খেলার। এসব জানতেই মেয়েকে দিয়ে একদিন তাঁর পুকুরের খেলার সঙ্গিনীকে ডেকে পাঠান রাজা। রাজকন‌্যার সঙ্গিনীর নাম ছিল পদ্মাবতী। 

Advertisement

পরদিন দুপুরে পুকুরে গিয়ে রাজকন্যা যখন পদ্মাবতীকে বলেন, রাজা ডেকেছে, তখন তার খেলার সাথী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, রাজার নির্দেশ তিনি মানবেন না। পদ্মাবতী কারও সঙ্গে দেখা করবে না। পদ্মাবতী রাজকন্যাকে জানান, তিনি কারও সঙ্গে দেখা করেন না। তিনি যদি মনে করেন কারও সঙ্গে দেখা করার প্রয়োজন রয়েছে তবে তিনি তাঁর কাছে নিজেই পৌঁছে যান। রাজকন্যাকে একথা বলায় রাজা রামব্রহ্ম তো যান বেজায় চটে। সেদিনই রাজা তাঁর পেয়াদাদের পাঠান পুকুর থেকে পদ্মাবতীকে খুঁজে নিয়ে আসতে। কিন্তু পেয়াদারা ওই বালি পুকুরে গিয়ে দেখেন পুকুর ধারে শুধু পায়ের ছাপ। আর সেখানে কেউ নেই। অনেক খোঁজাখুঁজি করে খোঁজ পাওয়া যায়নি পদ্মাবতীর।

Advertisement

[আরও পড়ুন: পুজোয় কতক্ষণ চলবে মেট্রো? জেনে নিন সময়সূচি]

সেদিন পেয়াদারা ফিরে আসেন রাজ দরবারে। সেই রাতেই পদ্মাবতী রাজা রামব্রহ্মকে স্বপ্নে দেখা দেন। স্বপ্নে তিনি রাজাকে বলেন, তিনি আসলে দেবী দুর্গা। তিনি রাজকন্যার বন্ধু রূপে রোজ দুপুরে বালি পুকুরে তাঁর সঙ্গে খেলা করেন। তাঁর পুজো যেন শিবপুরের রায়চৌধুরি পরিবারে হয়। রাজা রামব্রহ্ম এই স্বপ্ন দেখার পর তাঁর চোখ খোলে। সেই ইংরেজির ১৬৮৫ সাল ও বাংলার ১০৯২ বঙ্গাব্দ থেকে শিবপুরের রায়চৌধুরি পরিবারে আজও দুর্গাপুজো হয়ে আসছে। আজও রাজা রামব্রহ্ম রায়চৌধুরির বংশধররা এই পুজো(Bonedi Barir Durga Puja) করেন। এবছর ৩৩৯ বছরে পদার্পণ করল রাজ পরিবারের এই পুজো। এই বাড়ির গৃহদেবতা মা ব্যাতাইচণ্ডী।

জানা গেল, রায়চৌধুরি বাড়িতে একটি ঘরে একটি বেলগাছ রয়েছে। সেই বেলঘরেই দেবী দুর্গার ঘট রাখা হয়। দুর্গা দালানে দেবীমূর্তির পাশাপাশি দুর্গাপুজোর দিনগুলিতে বেলঘরে রাখা ওই ঘটে পুজো করা হয়। দশমীর দিন এই ঘট বিসর্জন করার পাশাপাশি দেবী দুর্গার মূর্তি ভাসান দিয়ে তাঁর মাথার মুকুট গৃহদেবতা ব্যাতাইচণ্ডীর মাথায় পরানো হয়। সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী তিনদিনই পাঁঠাবলি হয় রায়চৌধুরি পরিবারে। শিবপুরে রায়চৌধুরি পরিবারের অন্যতম সদস্য অরুণ রায়চৌধুরি বললেন, “রাজা রামব্রহ্ম রায়চৌধুরির স্বপ্নে আসা পদ্মাবতী প্রতিবছর দেবী দুর্গা রূপে রায়চৌধুরি পরিবারে আসেন ও পুজো নেন। প্রতি বছর দেশ-বিদেশে থাকা পরিবারের সদস্যরা এই পুজোর জন্য ছুটে আসেন। চারদিন সকলে চুটিয়ে আনন্দ করেন।”

[আরও পড়ুন: তৃণমূল প্রতিনিধি দলকে দার্জিলিংয়ে ডেকে পাঠালেন রাজ্যপাল, কী বললেন অভিষেক?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ