Advertisement
Advertisement

Breaking News

পুজো শেষের ‘ব্যস্ততা’ তুঙ্গে যৌনপল্লিতে

আনন্দ না বিষাদ খেলে যাচ্ছে পতিতাপল্লির ঘরে? আবছা অন্ধকারে উৎসবের দিনরাত্রি তা যেন ঠিক ঠাহর করতে পারে না৷

Busy Schedule for sex workers in Puja days
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:October 10, 2016 6:48 pm
  • Updated:October 10, 2016 9:17 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সারা বাংলা এই কটাদিন আনন্দে মেতেছে৷ পুজোর ছুটির আলসেমি যেন পরতে পরতে জড়িয়ে ধরেছে রাজ্যবাসীকে৷ কিন্তু বিপ্রতীপে যৌনপল্লির চেহারাটা এই কটাদিন একেবারে অন্যরকম৷ আলসেমির কোনও অবকাশ নেই সেখানে৷ কেননা পুজোর কটাদিন ‘কাস্টমার’দের ভিড় থাকে তুঙ্গে৷ আর তাই নবমী নিশি যখন দশমীর দিকে গড়াচ্ছে তখন চূড়ান্ত ব্যস্ততা যৌনপল্লির ঘরে ঘরে৷

এই পতিতার ঘরের মাটি নিয়েই দেবী প্রতিমা তৈরি হয়৷ সেটাই রীতি৷ তবে প্রতিমা দেখতে বেরনোর মতো ফুরসত কোথায় তাঁদের৷ গত দু’বছর তাও দুর্গাপুজো হচ্ছিল শহরের বিখ্যাত যৌনপল্লিতে৷ কিন্তু এবছর তাও বন্ধ৷ তাছাড়া পুজোর দিন অন্যরকম অর্থ নিয়ে আসে যৌনপল্লির বাসিন্দাদের কাছে৷ চেনা দিনগুলোর চেহারা এই কটাদিনে বদলে যায়৷ নিয়মিত যাঁরা আসেন, এ সময় তাঁদের খুব একটা দেখা যায় না৷ বরং বছরভর যাঁদের দেখা যায় না, এসময় তাঁদেরই ভিড়৷ হ্যাঁ, ঠাকুর দেখার অছিলায় শহরতলীর যে মানুষরা এই কটাদিন শহরমুখো হন, তাঁদের অনেকেরই উৎসব জমে ওঠে পতিতাদের কুঠুরিতেই৷ রথ দেখা কল বেচার মতো পুজো দেখার পাশপাশি এখানেও ঢুঁ মারেন অনেকেই৷ বছরভর হয়তো এঁদের টিকি দেখা যায় না৷ কিন্তু শুনতে অবাক হলেও, তাঁদের অনেকের কাছে পুজোর আনন্দ মানে এই পল্লিতে রাত কাটানোই৷ আর তাই পুজোর কদিন সাধারণ ‘খদ্দের’ পেরিয়ে ‘বিশেষ খদ্দের’দেরই চাপ বেশি৷

Advertisement

সেই চাপ সামলাতে বাড়ে যৌনপল্লির ব্যস্ততা৷ এই ক’দিন তাই তুমুল ব্যস্ততাতেই কাটে যৌনকর্মীদের৷ ঠাকুর দেখা বা পুজোয় বেরনো বিশেষ হয় না৷ বরং লোকের ভিড় সামলাতে অন্যান্য দিনের দেখে বেশিই চাপ নিতে হয় তাঁদের৷ কিন্তু হাতের লক্ষ্মী ফিরিয়ে দিতেও নারাজ তাঁরা৷ তাই পুজোর কদিন অন্য চেহারা যৌনপল্লির ঘরে ঘরে৷ আর নবমী পেরিয়ে দশমী চলে আসাই মানে শহরের ভিড় কমতি৷ দূর থেকে যাঁরা শহরে আসেন তাঁরা আজকের রাতটিকেই বেছে নেন এবারের পুজোয় শেষদিন ঘোরাঘুরির জন্য৷ এ রাতে ব্যস্ততার মাত্রা কয়েক পরত বাড়ে পতিতাপল্লতিতেও৷

Advertisement

উৎসব ফুরনোর মুহূর্তে যখন ‘যেওনা নবমী নিশি’ বলে চাপা হাহাকার বাঙালির মনে মনে, তখন তা অন্যভাবে ফেরে এই ঘরগুলোয়৷ হ্যাঁ, তুমুল ব্যবসা শেষ হয়ে যাওয়ার দুঃখ তো কোথাও একটা থাকে৷ পাশপাশি শারীরিক ধকল কাটানোর একটু ফুরসতও মেলে৷ তাই আনন্দ না বিষাদ খেলে যাচ্ছে পতিতাপল্লির ঘরে? আবছা অন্ধকারে উৎসবের দিনরাত্রি তা যেন ঠিক ঠাহর করতে পারে না৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ