ফাইল ছবি।
গোবিন্দ রায়: কলকাতা হাই কোর্টের রায়ে স্বস্তিতে ২০২২ সালের প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এনআইওএস বা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওপেন স্কুলিং থেকে ডিএলএড পাশ করা শতাধিক চাকরিপ্রার্থী। বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য জানান, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন তাঁরা। প্রাথমিক পর্ষদকে তাঁর নির্দেশ, চাকরিপ্রার্থীদের নথি যাচাই করে যাঁরা যোগ্য তাঁদের নিয়ে আরেকটি মেধাতালিকা তৈরি করতে হবে। এবং তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করতে হবে।
২০২২ সালের প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে না পেরে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন এনআইওএস থেকে ডিএলএড পাশ করা কয়েকশো চাকরিপ্রার্থী। সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক নির্দেশ অনুযায়ী, এই চাকরিপ্রার্থীরাও নিয়োগে অংশ নিতে পারবেন। যদিও ৩০ মে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ নথি যাচাইয়ের জন্য একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। যেখানে শুধু সুপ্রিম কোর্টের মামলাকারীদের নাম রয়েছে। বিচারপতি রায়ে উল্লেখ করেন, হাই কোর্টের মামলাকারীরা শীর্ষ আদালতে মামলাকারীদের মতো একই জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। শুধু পার্থক্য তাঁরা মামলা করেননি।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে প্রাথমিক টেট পরীক্ষার পর থেকেই চাকরি পাওয়ার আশায় দিন গুনছিলেন প্রার্থীরা। তবে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, যাঁদের বিএড ডিগ্রি রয়েছে, তাঁরা প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরির আবেদন করতে পারবেন না। নিয়োগের ক্ষেত্রে ডিএলএড প্রশিক্ষণে পাশ করা বাধ্যতামূলক। ২০১৪ টেট পরীক্ষার সময় এই বিষয়টি বাধ্যতামূলক ছিল না বলেই শীর্ষ আদালতের নির্দেশে জট তৈরি হয়। ২০১৪ সালের উত্তীর্ণ প্রার্থীরা তাই ২০২০ সালে ডিএলএড প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু করেন। তবে ২০২২-এ নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলেও ওই চাকরি প্রার্থীরা ততদিনে ডিএলএড-এর শংসাপত্র হাতে পাননি। ফলে চাকরি প্রার্থীদের একাংশ আদালতে এ নিয়ে মামলা করে। কলকাতা হাই কোর্ট হয়ে মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.