Advertisement
Advertisement

সোনাগাছির যৌনকর্মীদের দুর্গাপুজোর অনুমতি কলকাতা হাই কোর্টের

এশিয়ার বৃহত্তম যৌনপল্লিতে এখন উৎসবের মেজাজ।

Calcutta HC grants permission for Durga Puja in Sonagachi
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:August 17, 2017 10:42 am
  • Updated:August 17, 2017 10:42 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আদালতের হস্তক্ষেপে কাটল জট। নিজেদের পছন্দমতো জায়গাতেই পুজোর অনুমতি পেলেন সোনাগাছির যৌনকর্মীরা। তবে কলকাতা হাই কোর্ট সোনাগাছির পুজোর জন্য নির্দিষ্ট জায়গা বেঁধে দিয়েছে। মণ্ডপ হবে ২০ ফুট লম্বা এবং আট ফুট চওড়া। দুর্গাপুজো শুধু নয় লক্ষ্মীপুজোও হবে ওই প্যান্ডেল। লক্ষ্মীপুজো শেষ হলে মণ্ডপ খোলার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক। এই খবর ছড়িয়ে পড়তে এশিয়ার বৃহত্তম যৌনপল্লিতে এখন উৎসবের মেজাজ।

[বিমানসেবিকার মৃত্যুতে নয়া মোড়, খুন করে কি ফেলে দেওয়া হয়েছিল দেহ?]

সোনাগাছির দুর্গাপুজো জটিলতা নতুন কিছু নয়। প্রতিবারই কলকাতা হাই কোর্টের একেবারে শেষ মুহূর্তের সিদ্ধান্তে পুজো হয়। গত তিন বছর ধরে এটাই চলে আসছে। এবারও পুজোর আগে থেকেই জট তৈরি হয়। যৌনকর্মীদের দুর্গাপুজোর অনুমতি নিয়ে পুলিশ, পুরসভা ও দমকলকে বৈঠকে বসার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। বৈঠকের সিদ্ধান্ত আদালতকে জানানো হয়। তার ভিত্তিতে শুক্রবার হাই কোর্টের বিচারপতি জানান যৌনকর্মীরা তাদের বেছে দেওয়া জায়গাতেই পুজো করতে পারবেন। তবে তাদের কিছু নিয়ম মেনে মণ্ডপ করতে হবে। ২০/৮ ফুটের মধ্যে প্যান্ডেল করতে হবে। দুর্গাপুজোয় তৈরি হওয়া প্যান্ডেল কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত থাকবে। লক্ষ্মীপুজো শেষ হলে প্যান্ডেল খুলে দিতে হবে। আদালতের এই রায়ে উল্লসিত সোনাগাছি। মায়ের আবাহনের তোড়জোড় আরও গতি পেয়েছে।

Advertisement

[মিষ্টির আড়ালে অস্ত্রের ভাণ্ডার, নেপথ্যে মুঙ্গের যোগ]

এর আগে শুনানিতে বিচারপতি রাজ্যকে বলেছিলেন, কেন বারবার ওই সংগঠনকে  অনুমতি চাইতে আদালতে আসতে হবে? প্রথমে প্রশাসন যৌনপল্লির ভিতর একটি দুর্গামন্দিরে পুজোর অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু যৌনকর্মীরা তা মানতে চাননি। এবছর নীলমণি মিত্র স্ট্রিট ও মসজিদ বাড়ি স্ট্রিটের সংযোগস্থলের কাছে তারা পুজো করার কথা বলেন। রাজ্য এই নিয়ে আদালতকে জানিয়েছিল, সংকীর্ণ রাস্তায় পুজো হলে নাগরিক-দুর্ভোগ বাড়বে। তাই আপত্তি করা হয়েছে। কমপক্ষে ১২ ফুট জায়গা ছাড় দেওয়া না হলে অনুমতি দেওয়া যায় না। যা শুনে বিচারপতি বসাক জানিয়েছিলেন, কলকাতার বহু জায়গায় ১২ ফুট ছাড় না দিয়ে পুজো হয়। সেই সব পুজোর তালিকা কি চেয়ে পাঠানো হবে? দুর্বার-এর আইনজীবীরা দাবি করেন, যে রাস্তায় পুজো করা হবে, তা ৩৭ ফুট চওড়া। যথেষ্ট প্রশস্ত। তাই পুলিশ বা পুর-কর্তৃপক্ষের আপত্তির প্রশ্ন ওঠে না। দুর্বারের তরফে বলা হয়, এমন যুক্তিতে কলকাতার অর্ধেক নামী পুজোর অনুমতি বাতিল হওয়া উচিত। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর শেষ পর্যন্ত আদালত যৌনকর্মীদের অবস্থানকেই স্বীকৃতি দিল।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ