Advertisement
Advertisement

Breaking News

NIA

বীরভূমের জোড়া বিস্ফোরণের তদন্তে NIA, সিআইডি-কে দ্রুত নথি হস্তান্তরের নির্দেশ হাই কোর্টের

২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে লোকপুরে ও সদাইপুরে জোড়া বিস্ফোরণে উড়ে গিয়েছিল বাড়ির চাল।

Calcutta HC orders CID to NIA transfer the documents of double blast in Birbhum | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:April 21, 2022 2:42 pm
  • Updated:April 21, 2022 4:37 pm

গোবিন্দ রায়: তিন বছর আগের বীরভূমের (Birbhum) জোড়া বিস্ফোরণের তদন্তভার এনআইএ-কে দিল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta HC)। বৃহস্পতিবার হাই কোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি বিভাস পট্টনায়কের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি ছিল। তাতেই বিচারপতিরা নির্দেশ দেন, সিআইডি নয়, এবার ওই দুই বিস্ফোরণের তদন্ত করবে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেটিং এজেন্সি (NIA)। সিআইডিকে এতদিনকার যাবতীয় তদন্তের তথ্য কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হাই কোর্টের তরফে।

২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর বীরভূমের লোকপুর থানার গাংপুর গ্রামে বিস্ফোরণের জেরে বাবলু মণ্ডল নামে এক বাসিন্দার বাড়ির টিনের চালা উড়ে যায়। সে বছরের ২৯ আগস্ট সদাইপুর থানার রেঙ্গুনি গ্রামে হাইতুন্নেসা খাতুনের গোয়ালঘর উড়ে যায় বিস্ফোরণে (Blast)। রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি এই মামলাগুলির তদন্তভার গ্রহণ করে। পরে তদন্তভার গ্রহণ করে NIA।

Advertisement

[আরও পড়ুন: রাজ্যে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের হাসপাতাল, বাণিজ্য সম্মেলনে ঘোষণা ডাঃ দেবী শেঠির]

তবে জোড়া বিস্ফোরণের তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে রাজ্যের কাছ থেকে যথাযথ নথি পাচ্ছে না বলে অভিযোগ জানিয়েছিল NIA। বিশেষ আদালতের দ্বারস্থ হন তদন্তকারীরা। সমস্ত নথি দেওয়ার জন্য রাজ্যকে নির্দেশ দেয় এনআইএ-র বিশেষ আদালত। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টের পালটা মামলা করে রাজ্য সরকার। তার শুনানিতে এদিন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি বিভাস পট্টনায়কের ডিভিশন বেঞ্চ সাফ জানায়, দ্রুত সমস্ত নথি এনআই-কে হস্তান্তর করবে সিআইডি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: পুজোর ভোগ খেতে না যাওয়ার নিদান গ্রামসভার! মহিষাদলের পর ‘ফতোয়া’ বিতর্ক পটাশপুরে]

এদিনের শুনানিতে বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, “আইন অনুযায়ী এই ধরনের ঘটনা ঘটলে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা একটি প্রাথমিক রিপোর্ট এনআইএ-কে পাঠায়। রাজ্যের সেই রিপোর্ট বিবেচনা করে তদন্ত করা বা না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এনআইএ। কিন্তু এই ঘটনার ক্ষেত্রে এই ধরনের কোনও রিপোর্ট পাঠানো হয়নি। যেহেতু রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থার থেকে এনআইএ’র ক্ষমতা আরও বিস্তৃত, সে কারণে ন্যয়বিচারের স্বার্থে এই মামলার ভার এনআইএ-কে দেওয়া হল।” 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ