Advertisement
Advertisement

Breaking News

ভুঁড়িওয়ালা পুলিশ মামলায় হলফনামা তলব হাই কোর্টের

স্থূলতার বিষয়টি নিয়ে আরও কড়া হচ্ছে আদালত৷

Calcutta HC seeks govt's reply on overweight cops
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:March 24, 2017 9:53 am
  • Updated:March 24, 2017 10:04 am

স্টাফ রিপোর্টার: পুলিশের ভুঁড়ি মশকরার বিষয় নয়৷ বরং সমস্যা গুরুতর৷ এমনটাই পর্যবেক্ষণ আদালতের৷

তুমি যতই মারো মাইনে তোমার…৷ মজা করে এই ছড়া কাটা আর হয় না৷ তবে পুলিশকে নিয়ে মশকরা বন্ধ কি হয়েছে? নাহ্৷ এখন মাইনের জায়গা নিয়েছে ভুঁড়ি৷ স্থূলতা৷ শারীরিক সক্ষমতার প্রশ্নে প্রায়ই যেন গোল খাচ্ছে নিরাপত্তারক্ষায় নিয়োজিত সরকারি বাহিনী৷ সম্প্রতি যা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে৷ সেই বিতর্কে ঘি ঢেলে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টে৷ যার শুনানিতে অসন্তোষ জানাল আদালত৷ সরকারপক্ষের আইনজীবীকে স্পষ্টত ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিশিথা মাত্রের ডিভিশন বেঞ্চ বললেন, “বিষয়টি হালকাভাবে নেবেন না৷ এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়৷ পুলিশকে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করতে হয়৷ শারীরিক সক্ষম না হলে তো তা সম্ভব নয়৷”

Advertisement

[আজিনামোটো, ধাতব রং ব্যবহার করায় চায়না টাউনে সতর্কিত ৩০ রেস্তোরাঁ]

বিমান সেবিকার পদে যেমন সৌন্দর্যবোধ একটি বড় বিষয় তেমনই পুলিশের চাকরিতে দেহসৌষ্ঠব৷ চাকরির পরীক্ষায় দৌড়, হাইজাম্প, লংজাম্প-সহ নানা পরীক্ষায় উতরে গিয়ে প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর চাকরিতে যোগ দেওয়ার পরই কেমন যেন হয়ে যাচ্ছেন পুলিশ কর্মীরা৷ কারও হাইসুগার, কারও অনিয়ন্ত্রিত ব্লাড প্রেসার, থাইরয়েড৷ সঙ্গী অবসাদ৷ কেমন যেন হয়ে যাচ্ছেন সমাজের শান্তি রক্ষকেরা৷ পৃথুল শরীর৷ ইয়া ভুঁড়ি৷ এ নিয়ে হাসি-মশকরাও চলছে জোরকদমে৷ সম্প্রতি একাধিক পুলিশকর্মীর ভুঁড়ি যেন বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে৷ এ নিয়ে আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়৷ তার জেরেই আদালতের এই মন্তব্য৷

Advertisement

[শ্রীজাতকে ত্রিশূল দিয়ে ‘সংহার’ করলে মিলবে ৫ লক্ষ, ঘোষণা ফেসবুকে]

আদালত বলেছে, “বিষয়টি মজার নয় মোটেই৷ বছরে একবার সক্ষমতার পরীক্ষা হয় বটে তবে তা তো নিয়মরক্ষা৷ এ দিয়ে কিছুই বোঝা যায় না৷ নিয়মিত বডিমাস ইনডেক্স পরীক্ষা হয় তো? শরীরের ওজনের সঙ্গে উচ্চতার সামঞ্জস্য আছে কি না দেখা হয়৷ প্রশিক্ষণের রিপোর্ট দিতে পারবে রাজ্য? এর আগে দু’বার বিশদ রিপোর্ট চাওয়া হয়েছিল৷ কোনওবার এমন তথ্য পেশ করা হয়নি যাতে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর মেলে৷” উল্লেখ্য, কমল দে নামের এক ব্যক্তির করা মামলার ভিত্তিতে শুক্রবার দ্বিতীয় রিপোর্টটি পেশ করেছিল রাজ্য৷ কিন্তু সেই রিপোর্টে খুশি হয়নি আদালত৷ বরং জানিয়ে দেওয়া হয়, “গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রাজ্য যেন হালকা ভাবে না নেয়৷ দু’সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা চাই৷”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ