Advertisement
Advertisement

পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল হাই কোর্ট

১৬ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দিল আদালত।

Calcutta HC stays West Bengal Panchayat polls
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:April 12, 2018 12:37 pm
  • Updated:January 10, 2019 4:28 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল হাই কোর্ট। আপাতত, পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে গেল। ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না। সরকারি নিয়ম মোতাবেক, তিন দফায় রাজ্যে ভোট হওয়ার কথা। এখনও নির্বাচনের বহু কাজ বাকি। কিন্তু আগামী ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত আদালত যাবতীয় প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ দিল আজ। সেই সঙ্গে নির্বাচন সংক্রান্ত সব তথ্য আদালতে দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাই কোর্টের নির্দেশে খুশি বিজেপি। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানিয়েছেন, এই স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছে রাজ্য সরকার।

 

Advertisement

রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আজ আদালত চত্বরে বলেন, ‘আদালত নির্বাচন কমিশনকে বলেছে, স্টেটাস রিপোর্ট পেশ করতে। সোমবার ফের মামলা উঠবে আদালতে। রিপোর্ট দেখে কোর্টে আবার বিচার হবে। কিন্তু এই ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন আর কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না।’ আদালতের এই নির্দেশে অবশ্য তাঁকে খুব একটা বিচলিত দেখায়নি। বিজেপির প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘কোর্টের রায়ে গর্বিত। আজ গণতন্ত্রকে যেভাবে হেনস্তা করে তৃণমূল তাকে ধ্বংস করতে চাইছে, আদালত তা হতে দিল না। আমরা হাই কোর্টকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ১৬ তারিখের মধ্যে আদালতে জানাতে হবে, কমিশন কেন মনোনয়নের নতুন তারিখ ঘোষণা করেও পিছিয়ে এল। দেশে কোথাও কোনওদিন এমনটা হয়নি।’

[স্ত্রী ভেন্টিলেশনে, তবুও লড়াইয়ের ময়দানে অনুব্রত]

নির্বাচনের মনোনয়নপত্র এখন স্ক্রুটিনি করা হচ্ছে। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৬ এপ্রিল। কিন্তু আদালতের নির্দেশে গোটা প্রক্রিয়াই এখন বিশ বাঁও জলে। আগামী সোমবার আদালত তার নির্দেশ জানাবে। সেদিনই জানা যাবে, পঞ্চায়েত নির্বাচন আদৌ পিছবে কি না আইনজীবীদের দাবি, দেশে সম্ভবত এই প্রথম কোনও নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর আদালতের হস্তক্ষেপে তা স্থগিত হয়ে গেল। আইনজীবীদের একাংশই বলছেন, ১৯৭৭ থেকে এই রাজ্যে যতবারই পঞ্চায়েত ভোট হয়েছে, কখনই রাজ্যের কাজে হাই কোর্ট বা সুপ্রিম কোর্ট হস্তক্ষেপ করেনি। এবারেই এমন ঘটনা প্রথমবার ঘটল।

অধীর চৌধুরী বলেন, ‘মানুষের অভিযোগ শুনতে হবে। কী করে মানুষকে রেহাই দেওয়া যায়, হাই কোর্টকে দেখতে বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। আমাদের অভিযোগ ছিল, মনোনয়্ন জমা দিতে পারছি না। কংগ্রেস নির্বাচন বন্ধ করে দিতে বলেনি। আমরা বলেছিলাম, আমাদের অংশগ্রহণের সুযোগ দিন। নইলে বাংলায় গণতন্ত্র বিপন্ন হবে।’

[৮৫ বছরেও ভোটের ময়দানে টগবগে ‘যুবক’ শৈলেন্দ্র]

[আরও বিস্তারিত আসছে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ