BREAKING NEWS

১১ আশ্বিন  ১৪৩০  শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

কলকাতা হাই কোর্টে ধাক্কা রাজ্য সরকারের, খারিজ উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া

Published by: Sayani Sen |    Posted: December 11, 2020 2:42 pm|    Updated: December 11, 2020 3:55 pm

Calcutta HC stops primary teachers appointment in a blow to state ।Sangbad Pratidin

শুভঙ্কর বসু: ফের কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) ধাক্কা রাজ্য সরকারের। উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া খারিজ করলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য। প্যানেল থেকে শুরু করে মেধাতালিকা সবই বাতিল করে দেওয়া হল। শুক্রবার সে রায়ই দেন তিনি। তাঁর রায়ে অত্যন্ত খুশি মামলাকারীরা। তবে প্রকৃতই যাঁরা পাশ করেও চাকরি পেলেন না তাঁরা রায়ে অত্যন্ত হতাশ।

উল্লেখ্য, উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০১১ ও ২০১৫ সালে টেট হয়েছিল।টিচার এলিজিবিটি টেস্ট (Teacher Eligibity Test) বা টেটে যাঁরা নির্বাচিত হয়েছিলেন তাঁদের ভেরিফিকেশনের জন্য ২০১৬ সালে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। ওই তালিকাকে চ্যালেঞ্জ করে ২০১৯ সালে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা হয়। মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল, যাঁরা যোগ্য নন তাঁদেরও তালিকায় নাম ছিল। আর্থিক কারচুপির অভিযোগও ওঠে। মামলাটি কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের এজলাসে চলছিল। সেই মামলাতেই এই রায় দিলেন বিচারপতি। তিনি বলেন, “শিক্ষক নিয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ শিক্ষকের উপরেই ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে। টেটে যাঁদের নাম এসেছে তাঁরা সকলে যথাযথ নন। তাই মামলাকারীদের দাবি মেনে বাতিল করা হল সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া।” হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, নতুন নির্বাচন প্রক্রিয়া আগামী বছরের ৪ জানুয়ারি থেকে শুরু করতে হবে। ৫ এপ্রিলের মধ্যে তা শেষ করতে হবে। এছাড়াও অন্যান্য প্রক্রিয়া ১০ মে’র মধ্যে শেষ করতে হবে।

[আরও পড়ুন: ‘মন্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চান’,নাড্ডার কনভয়ে হামলায় মমতার ‘নাটক’ কটাক্ষের পালটা ধনকড়ের]

দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে আইনি লড়াই চলে। তারপর কলকাতা হাই কোর্টের শুক্রবারের এই রায়ে যথেষ্ট খুশি মামলাকারীরা। সত্যের জয় বলেই বিষয়টিকে দেখছেন তাঁরা। সেকথাই জানান মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। তবে এই মেধাতালিকায় অনেকেই ছিলেন যাঁরা নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। তাঁরা চাকরি তো পেলেনই না পরিবর্তে বাতিল হয়ে গেল গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া। তাই কলকাতা হাই কোর্টের শুক্রবারের রায়ে যথেষ্ট হতাশ ওই সফল পরীক্ষার্থীরা। এদিকে, কলকাতা হাই কোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছে। এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমি এখন কিছু বলব না। সব খোঁজখবর নিয়ে তারপর জানাব।”

[আরও পড়ুন: আয়ুশ নিয়ে কেন্দ্রের নয়া নীতির বিরুদ্ধে ধর্মঘট IMA’র, পালটা বাড়তি কর্মোদ্যোগ আয়ুর্বেদ কলেজে]

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে