Advertisement
Advertisement

Breaking News

‘গণতন্ত্রের সঙ্গে প্রতারণা’, বনগাঁ পুরসভার অনাস্থা মামলায় ফের প্রশাসনকে ভর্ৎসনা বিচারপতির

সম্ভবত বুধবারই এই মামলার রায় ঘোষণা করবেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়৷

Calcutta High Court slams State Govt on Bongaon Municitality case
Published by: Tanujit Das
  • Posted:July 29, 2019 5:07 pm
  • Updated:July 29, 2019 5:22 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বনগাঁ পুরসভার অনাস্থা মামলায় আবারও পুলিশ ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়৷ ঘটনার তীব্র নিন্দা করে জানালেন, ‘‘এটা গণতন্ত্রের সঙ্গে প্রতারণা৷ গণতন্ত্র ফুটপাথে এসে দাঁড়িয়েছে৷ গায়ের জোরে নির্দেশ না মানার প্রবণতা খুবই দুর্ভাগ্যজনক৷ পুলিশের উচিত ছিল কাউন্সিলরদের বৈঠক পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া৷ পুলিশ যদি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়, তবে রাজ্যকে জবাবদিহি করতে হবে৷’’

[ আরও পড়ুন: দুর্নীতি ও প্রতারণার মামলায় এবার মুকুল রায়কে নোটিস কলকাতা পুলিশের ]

Advertisement

আদালত সূত্রে খবর, এদিন বিচারপতি জানান, ‘‘গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতেই হবে৷ এই মামলা ক্রমাগত চলতে পারে না৷’’ এরপরই বুধবার পরবর্তী শুনানির দিন ঘোষণা করেন তিনি৷ এবং সম্ভবত ওই দিনই এই মামলার রায় ঘোষণা করবেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়৷ জানা গিয়েছে, সোমবার আদালতে এই মামলা উঠতেই বিচারপতি মন্তব্য করেন, “আদালতের নির্দেশ না মানার ঘটনা খুব দুর্ভাগ্যজনক। ১০ কখনওই ১১—র বেশি হতে পারে না। ভয় দেখিয়ে হুমকি দিয়ে কখনও কিছু হয় না। গায়ের জোর দেখিয়ে কিছু করা ঠিক না।” বিজেপি-র তরফে বারবার অভিযোগ তোলা হয়েছিল, যে তিনজন কাউন্সিলর বনগাঁ পুরসভায় অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন তাঁরা ওইদিন পৌঁছতেই পারেননি। এই প্রসঙ্গে বিচারপতি বলেন, “আদালত একটা নির্দেশ দিয়েছিল সেটা ভাল খারাপ দুই-ই হতে পারে। কিন্তু তা বলে নির্দেশ মানা হবে না! যাঁরা অনাস্থা এনেছিলেন, তাঁরাই পৌঁছতে পারলেন না। এটা গণতন্ত্রের পক্ষে দুর্ভাগ্যজনক।”

Advertisement

[ আরও পড়ুন: ‘দিদি কে বলো’, এবার রাজ্যবাসীর সঙ্গে সরাসরি জনসংযোগে মমতা ]

একইসঙ্গে এদিন পুলিশের ভূমিকারও সমালোচনা করেন বিচারপতি। বলেন, “দুই দলের মধ্যে অশান্তি হতে পারে। কিন্তু তাই বলে পুলিশ কেন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারল না। যাঁরা অনাস্থা আনল, তাঁরাই সভা করতে পারল না! পুলিশের উচিত ছিল প্রোটেকশন দেওয়া। পুলিশ কোনও দলের হয়ে কাজ করলে তো মুশকিল। পুলিশ নিরপেক্ষ হলে সমস্যা হত না। বিজেপি— কাউন্সিলররা একবার বলছেন, তাঁদের পুলিশ আটকেছেন, কখনও বলছেন তাঁদের তৃণমূল আটকেছে। কিন্তু এটা ঠিক তাঁদের আটকানো হয়েছিল। চেয়ারম্যানের উচিত ছিল বিকেল ৪টে পর্যন্ত ধৈর্য্য ধরা।”

উল্লেখ্য, আস্থা ভোটকে কেন্দ্র করে চলতি মাসে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল বনগাঁ পুরসভা এলাকা। বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে একপ্রকার খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় পুলিশের, ধস্তাধস্তি লাঠিচার্জ পুলিশকে লক্ষ্য করে পাল্টা ইট ছোড়ার ঘটনা ঘটে। উত্তেজিত বিজেপি কর্মীদের হটাতে স্টান গ্রেনেড ফাটায় পুলিশ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ