Advertisement
Advertisement

বাজি পুড়িয়ে বাক্স ফেরত দিলেই মিলবে টাকা!

জানেন, কোথায় গেলে মিলবে টাকা?

Cash refund on cracker packet
Published by: Sayani Sen
  • Posted:November 7, 2018 10:48 am
  • Updated:November 7, 2018 10:48 am

কলহার মুখোপাধ্যায়: প্যাকেট ফেরত দিলে হাতে গরম নগদ ফেরত আসবে পকেটে। নয়া কিসিমের এই স্ট্র‌্যাটেজি মার্কেটে ফেলতেই বাজার মাত। পোড়ানোর পর বাজির বাক্স স্টলে ফেরত দিলে প্রতি বাক্স ২ টাকা দরে নিয়ে নেবে দোকানদার। অভিনব এই ব্যবস্থা আমদানি করেছে অপু স্টোর্স। তারা এবার টালা বাজি বাজারে স্টল দিয়েছে। অবশ্য তাদের কাছ থেকে কেনা বাজির প্যাকেটই ফেরত নেবে তারা। শুধুমাত্র এই কারণেই আজ স্টল খোলা থাকছে। অভিনব তো বটেই, তবে কেন এই পরিকল্পনা? অপু-র কর্ণধার সন্দীপ বসু বলছেন, “বাজির প্যাকেট হয় পোড়ানো হয়, নয়তো রাস্তাঘাটে ফেলে দেওয়া হয়। দুটি ক্ষেত্রেই দূষণের মাত্রা বাড়ায় এই প্যাকেট। এই প্রবণতা রুখতে আমরা প্যাকেট ফেরত নেওয়ার পরিকল্পনা করেছি।” ফেরত নেওয়া প্যাকেট পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলা হবে। সেগুলি ফের কাজে লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সন্দীপবাবু।

[দিওয়ালির সকালে আকাশের মুখভার, একাধিক জেলায় বৃষ্টি়]

ফেলে দেওয়া বাজির বাক্স পোড়ালে কতটা দূষণ হয়? সন্দীপ জানিয়েছেন, বাজির বাক্সগুলি পাতলা প্লাস্টিক দিয়ে ল্যামিনেশন করা থাকে। সেগুলি পোড়ালে কাগজ পোড়ে, সঙ্গে প্লাস্টিকও পোড়ে। প্রায় কিছু না জেনেই নির্বিচারে প্যাকেট পোড়ায় মানুষ। আর তা থেকে বিপুল মাত্রার দূষণ ছড়িয়ে পড়ে পরিবেশে। এই সম্পর্কে সচেতনতার অভাব থাকার কারণে ক্ষতিকর দিকটি অগোচরেই থেকে যায়। সন্দীপের বক্তব্য, মানুষকে কিছুটা সচেতন করতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে তাঁর সংস্থা। প্রাথমিকভাবে কিছুটা লোকসানের দায় নিতে হলেও সচেতনতার কাজ তিনি চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।

Advertisement

[মাথা তুললেও টহলদারি ভ্যানে শহরে জব্দ শব্দদৈত্য]

অপু স্টোর্সের যাত্রা শুরু হয় বছর চোদ্দো আগে। দোকানে দোকানে ঘুরে বাজি বিক্রি করতেন অপুর কর্মীরা। গত ছ’বছর হল টালার বাজি বাজারে স্টল দিচ্ছেন। পরিবেশের প্রতি টান থেকেই এবছর সন্দীপবাবু বাজি কিনলেই একটি করে জবাগাছ দিচ্ছেন বিনামূল্যে। নেওয়াটা বাধ্যতামূল। না নিলে বাজি বেচছেন না। পরিবেশ প্রেম থেকেই পরিবেশ বান্ধব বাজি তৈরির কাজ শুরু করতে চলেছেন পেশায় কেমিস্ট, কলকাতা ইউনিভার্সিটির ছাত্র সন্দীপ। পরের বছর ওই বাজিই বাজার মাতাবে, নিশ্চিত তিনি। এ বছর ৪৫টা আইটেম নিয়ে বাজারে স্টল সাজিয়েছিলেন। পরের বছর সংখ্যাটা বাড়বে মনে করছেন। যার বেশিরভাগটাই গ্রিনবাজি। গবেষণার কাজ শুরু করে দিয়েছেন। তবে পদ্ধতির সূত্রগুলো খোলসা করছেন না। সেটি পরের বছরের চমক হিসেবে তুলে রাখতে চান। আজ সারাদিন খোলা থাকছে টালা বাজি বাজারের অপু স্টোর্স। গিয়ে প্যাকেটের বদলে টাকা নিয়ে এলেই হল। অপুর পথে হেঁটে কাশফুল ফোটাতে অন্য ব্যবসায়ীরা কি তৈরি?

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ