Advertisement
Advertisement

Breaking News

ইলিশ মাছ

মাছবাজারে আচমকা হানা, বাজেয়াপ্ত খোকা ইলিশ যাবে বৃদ্ধাশ্রমে

কড়া নির্দেশিকা জারি করল মৎস্য দপ্তর। 

Ceased Hilsha will be sent to old-age home from now onwards
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:October 9, 2019 2:15 pm
  • Updated:October 9, 2019 2:15 pm

ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: এবার থেকে আর ইলিশ নষ্ট করা নয়। বাজেয়াপ্ত করা খোকা ইলিশ পাঠিয়ে দেওয়া হবে বৃদ্ধাশ্রমে। আবার খোকা ইলিশের বিক্রি রুখতে খুচরো বাজারগুলিতেও হানা দেবে দপ্তর। এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। 

[আরও পড়ুন: কার্নিভ্যালের জন্য আলো ঝলমল রেড রোড, সাধারণের জন্য থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা ]

সাগর থেকে খোকা ইলিশ ধরে নামখানা পাইকারি বাজারে বিক্রির জন্য সাত থেকে আটটি লরি আনা হয়েছিল। পুলিশ সূত্রে খবর পেয়ে সেগুলি বাজেয়াপ্ত করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন মৎস্য দপ্তরের আধিকারিকরা। মঙ্গলবার সকালে এই ঘটনা ঘটেছে। এর আগেও বেশ কয়েকবার এমন ঘটনা ঘটেছে। লরি ভরতি খোকা ইলিশ নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। ফলে স্থানীয় বাসিন্দারাই অসন্তুষ্ট হয়েছেন। রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাঁরা। বারবার এমন ঘটনা ঘটায় সমস্যা সমাধানে এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মৎস্য দপ্তর। 

Advertisement

ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি বৃদ্ধাশ্রমের সঙ্গে আলোচনাও হয়েছে মৎস্য দপ্তরের। দপ্তরের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার কথায়, “২৩ সেন্টিমিটারের কম বা পাঁচশো গ্রামের কম ওজনের ইলিশ ধরা দণ্ডনীয় অপরাধ। তাই ২৩ সেন্টিমিটারের কম ফাঁকযুক্ত জালও তৈরি বন্ধ করার জন্য সংস্থাগুলির সঙ্গে আলোচনা চলেছে। কিন্তু খোকা ইলিশ ধরে নষ্ট না করে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠালে আবাসিকরা খেতে পারেন।” দপ্তরের এক শীর্ষকর্তার কথায়, বয়স্ক মানুষরা অন্তত কিছুটা ইলিশের স্বাদ পেতে পারেন। তাই নষ্ট না করে বৃদ্ধাশ্রমগুলিতে পাঠানো অনেক যুক্তিযুক্ত। এরমধ্যেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার বোড়াল ও গড়িয়ার দু’টি বৃদ্ধাশ্রমের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। ঠিক হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় খোকা ইলিশ বাজেয়াপ্ত করা হলে একটি অংশ পাঠিয়ে দেওয়া হবে ওই দু’টি বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকদের জন্য। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: উৎসবের শহরে ইচ্ছেমতো দাম হাঁকাচ্ছে ট্যাক্সি-অ্যাপ ক্যাব, নাকাল যাত্রীরা]

পাশাপাশি রাজ্যের অন্য বৃদ্ধাশ্রমগুলির সঙ্গেও আলোচনা চলছে। এটা যেমন একটা দিক, তেমনই এবার থেকে রাজ্যের সব পাইকারি ও খুচরো মাছ বাজারগুলিতে খোকা ইলিশ বিক্রি বন্ধ করতে অভিযান চালানো হবে। দপ্তর সূত্রে খবর, প্রথম দফায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পাইকারি ও খুচরো বাজারে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি অভিযান চালানো হবে। পুলিশের পাশাপাশি স্থানীয় পঞ্চায়েত ও জেলা পরিষদগুলিকে যুক্ত করা হবে। অভিযানের সময় পঞ্চায়েত এলাকার প্রতিনিধিরা হাজির থাকবেন। আবার পুর এলাকা হলে সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরদের যুক্ত করা হবে। কারণ তাঁরা এলাকা বোঝেন। মানুষকে চেনেন। দফায় দফায় তা রাজ্যের সব জেলায় চালু করা হবে। দপ্তরের এক আধিকারিকের কথায়, এরই পাশাপাশি নির্দিষ্ট আয়তনের জাল বিক্রি রুখতে চেন্নাই, অন্ধ্রপ্রদেশের সংস্থাগুলির সঙ্গেও আলোচনা শুরু হয়েছে। ঠিক হয়েছে কোন ধরনের জাল বিক্রি হচ্ছে খোলা বাজারে তাও প্রয়োজনে যাচাই করা হবে দপ্তরের পক্ষ থেকে। এমনকী, জাল নষ্ট করার মতো কঠোর পদক্ষেপও নেওয়ার জন্য জেলাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হবে। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ