Advertisement
Advertisement
Tuberculosis

যক্ষ্মা নির্মূলে মরিয়া কেন্দ্র, ডিসেম্বরেই বাংলা-সহ গোটা দেশে শুরু বিশেষ কর্মসূচি

মূলত ড্রপ আউট রোগীদের ফের ক্যাম্পে এনে পরীক্ষা করে চিকিৎসার আওতায় ফেরানোই এই কর্মসূচির লক্ষ্য।

Centre takes initiative to eradicate tuberculosis

প্রতীকী ছবি

Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:November 28, 2024 8:03 pm
  • Updated:November 28, 2024 8:03 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২৬ সালের মধ্যে যক্ষ্মা নির্মূল করতেই হবে। এই কর্মসূচিকে পাখির চোখ করে ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত রাজ্যের ১৯ টি জেলার স্বাস্থ্যকেন্দ্র, হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজে ১০০ দিনের ক্যাম্প হবে, হবে টিভি নির্ণয় কেন্দ্র। আগামী সপ্তাহে ঠিক হবে কোন কোন হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজ ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোকে এই কর্মসূচির আওতায় আনা হবে। চলতি সপ্তাহে স্বাস্থ্যভবনে কেন্দ্রীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, জাতীয় যক্ষ্মা নির্মূল কর্মসূচির তরফে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরকে যে চিঠি পাঠানো হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে, গোটা দেশ জুড়েই এই কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। গোটা প্রকল্পটাই কেন্দ্রের। সমস্ত পরিকাঠামো দেবে কেন্দ্র সরকার। ওষুধও দেবে কেন্দ্র। রাজ্যগুলোর দায়িত্ব শুধুমাত্র নতুন কোনও রোগী পেলে তাঁদের চিহ্নিত করা। নিক্ষয় (Nikshay) পোর্টালে রোগীর নাম তোলা ও তাঁদের চিকিৎসার আওতায় আনা।

Advertisement

ঘটনা হল, গতবছর প্রায় ৬ মাস ধরে কেন্দ্রীয় স্বাস্থযমন্ত্রক যক্ষ্মার ওষুধ পাঠাতে ঢিলেমি করেছে। রাজ্য সরকার নিজের কোষাগার থেকে টাকা দিয়ে নিজের কর্মসূচি বজায় রেখেছে। এখন শেষ মুহূর্তে এসে ২৪ মার্চ অর্থাৎ জাতীয় যক্ষ্মা দিবস পর্যন্ত একশো দিনের ক্যাম্প করে অবস্থা সামাল দিতে চাইছে কেন্দ্র। জাতীয় যক্ষ্মা নির্মূল প্রোগ্রামের মূল বিষয় একটাই, মাল্টি ড্রাগ রেসিস্ট্যান্ড টিভি। অর্থাৎ যাদের স্বাভাবিক ওষুধে রোগ নিরাময় হচ্ছে না। এই রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। কারণ, কিছুদিন ওষুধ খাওয়ার পর শরীর একটু চাঙা হলেই চিকিৎসা বন্ধ করে দিচ্ছে রোগী। যাচ্ছেন না স্বাস্থ্যকেন্দ্রে, রোগ পরীক্ষা করছে না। এমনকী আশাকর্মীদের বাড়িতে পাঠানো হলেও খালি হাতে ফিরে আসতে হচ্ছে।

রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের এক আধিকারিকের কথায়, মূলত এই ধরনের ড্রপ আউট রোগীদের ফের ক্যাম্পে এনে পরীক্ষা করে চিকিৎসার আওতায় আনাই মূল লক্ষ্য। পাশাপাশি যারা নতুন করে সংক্রমিত হচ্ছেন, তাঁদেরকেও চিকিৎসার আওতায় আনা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement