Advertisement
Advertisement
নিউটাউনে করোনা চিকিৎসা

চিত্তরঞ্জন ক্যানসার হাসপাতালের নিউটাউন ক্যাম্পাসেও এবার করোনার চিকিৎসা

বেলেঘাটা আইডিতে বাড়ছে শয্যা সংখ্যা।

Chittaranjan National Cancer Institute's New Town will treat Corona
Published by: Paramita Paul
  • Posted:March 25, 2020 7:19 pm
  • Updated:March 30, 2020 6:20 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। আবার আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছেন এমন সন্দেহে অনেককে হাসপাতালে রাখা হচ্ছে। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে এমন আশঙ্কায় রাজ্যের আরও একটি হাসপাতালকে করোনা চিকিৎসাকেন্দ্রে রূপান্তর করছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি বেলেঘাটা আইডির শয্যা সংখ্যা আরও বাড়ানো হচ্ছে বলে খবর।

জানা গিয়েছে, নিউ টাউনের চিত্তরঞ্জন ন্যাশানাল ক্যানসার ইন্সটিটিউটের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসটিকে পুরদস্তুর করোনার চিকিৎসায় ব্যবহার করা হবে। সেখানে ৫০০টি শয্যা রয়েছে। এর আগে এই হাসপাতালটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল। সেটি পাশের বিল্ডিং স্থানান্তর করা হচ্ছে বলে খবর। এ প্রসঙ্গে বুধবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের অধিকর্তা ডা. অজয় চক্রবর্তী জানান, “আমরা হাসপাতালটিকে করোনা হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেই উদ্দেশ্যে ৩০ জন নার্স, দুই টেকনিশিয়ান, চিকিৎসক, দুজন ডেপুটি নার্সিং সুপার, এক নার্সিং সুপার-সহ প্রায় ৫০ জন কর্মীকে এখানে পাঠানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, এর আগে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজকেও করোনার চিকিৎসায় ব্যবহার করা হচ্ছে। 

Advertisement

[আরও পড়ুন : ‘উপযুক্ত সুরক্ষার ব্যবস্থা নেই’, অভিযোগে বেলেঘাটা আইডিতে বিক্ষোভে নার্সরা়

এদিকে রোগীর চাপে নাভিশ্বাস অবস্থা বেলেঘাটা আইডিতে। তাই করোনা ও সংক্রামক রোগীদের চিকিৎসার জন্য শয্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে এই হাসপাতালে আরও ৮০টি শয্যা বাড়ানো হচ্ছে বলে খবর। বর্তমানে সেখানে ৩২টি শয্যা রয়েছে।

Advertisement

এর আগে করোনা মোকাবিলায় আয়ুশ হাসপাতালগুলিকেও ব্যবহার করার প্রস্তুতি নেয় কেন্দ্র। সোমবারই দেশের সব আয়ুশ হাসপাতালকে চিঠি লিখে সেই কথাই জানিয়ে দেন কেন্দ্রীয় আয়ুশ সচিব রাজেশ কোটেচা। এ রাজ্যে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে মোট ষোলোটি আয়ুশ হাসপাতাল রয়েছে। সরকারি হোমিওপ্যাথি হাসপাতাল চারটি, আয়ুর্বেদ হাসপাতাল তিনটি। বেসরকারি হোমিওপ্যাথি হাসপাতাল সাতটি, আয়ুর্বেদ হাসপাতাল রয়েছে দু’টি। একটি বেসরকারি উদ্যোগে চলা ইউনানি হাসপাতাল রয়েছে। সব হাসপাতালেরই অধ্যক্ষকে চিঠি দিয়েছেন কোটেচা। কার কত শয্যা, কত ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী তার তালিকা পাঠাতে বলা হয়েছে। তার ভিত্তিতেই ব্লু প্রিন্ট তৈরি করা হবে।

[আরও পড়ুন : অত্যাবশকীয় পণ্য আটকালে কড়া ব্যবস্থা, পুলিশকে হুঁশিয়ারি মমতার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ