সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শহরে আজ বিষাদের সুর। দেখতে দেখতে পেরিয়ে গেল পুজোর দিনগুলো। ঠাকুর-দেখা, খাওয়া-দাওয়া, মণ্ডপে বসে দেদার আড্ডা, এবছরের মতো এসব শেষ। দশমীতে মণ্ডপে মণ্ডপে সিঁদুরখেলায় মেতেছে বাঙালি। মাকে বরণ করে নিয়ে তাঁকে কৈলাশে পাঠানোর প্রস্তুতি বনেদি বাড়িগুলিতেও।
[কার্নিভালে আসবেন রেকর্ড বিদেশি, দূষণ-নিয়ন্ত্রণে সতর্ক পুলিশ ও পুরসভা]
মহালয়ার পর থেকেই তিতলির চোখ রাঙানিতে বেশ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন রাজ্যবাসী। তবে কি এবারের পুজোটা ঝড়-বৃষ্টির মধ্যেই কাটবে? এমন প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছিল প্রত্যেকের মনে। কিন্তু মা দুর্গা সহায়। যষ্ঠী থেকে দশমী, আবহাওয়া ছিল পরিষ্কার। তাই পুরোদমেই পুজো উপভোগ করতে পেরেছেন বাঙালিরা। সেই আনন্দ উৎসবের আজ শেষ দিন। মাকে বিদায় জানানোর পালা। মল্লিক বাড়ির পুজোয় সিঁদুরখেলায় যেমন মেতেছেন কোয়েল মল্লিক ও তাঁর পরিবার, তেমনই বাগবাজার সর্বজনীনেও ঢাকের তালে জমে উঠেছে সিঁদুরখেলা। উত্তর থেকে দক্ষিণ, শহরের বিভিন্ন মণ্ডপে সিঁদুরখেলায় মেতেছেন টলিপাড়ার সেলিব্রিটিরাও। নানা স্থানে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে প্রতিমা নিরঞ্জনের পালা। টাকি থেকে বাজেকদমতলা ঘাট, বিজর্সনের জন্য প্রতিটি ঘাটেই রয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সুষ্টভাবে যাতে প্রতিমা নিরঞ্জন করা যায়, তার জন্য মোতায়েন রয়েছে পুলিশ।

তবে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানানোর পালা শুরু হয়ে গেলেও বাঙালি এত তাড়াতাড়ি ঠাকুর দেখায় ইতি টানতে নারাজ। তাই এদিনও তিলোত্তমার রাস্তায় ভিড়। অনেকেরই রাত জেগে ঠাকুর দেখার পরিকল্পনা রয়েছে। রেডরোডের কার্নিভালের জন্য নামকরা মণ্ডপগুলির প্রতিমা নিরঞ্জন আজই হচ্ছে না। ফলে দশমীতেও যে জনজোয়াড়ে ভাসবে শহর কলকাতা, তা বলাইবাহুল্য। তবে শুধু মণ্ডপেই নয়, মিষ্টির দোকানেও কিন্তু ভিড় উপচে পড়ছে। বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়ে একে অপরকে মিষ্টি খাওয়ানোর পালাও শুরু হয়ে গিয়েছে। সবমিলিয়ে বিষাদের সুরে মায়ের বন্দনার মধ্যে দিয়েই আগামী বছরের পুজোর প্রতীক্ষা শুরু বাঙালির। বিদায়বেলায় প্রার্থনা, সকলকে ভাল রেখো মা। আবার এসো ফিরে।