সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অগ্নিকাণ্ডের জেরে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ নারকেলডাঙায়। প্রশাসনিক গাফিলতির অভিযোগে রবিবার সকাল থেকে সর্বহারা এলাকাবাসী বিক্ষোভে শামিল। পরিস্থিতি পরিদর্শনে যান মেয়র ফিরহাদ হাকিম। রাজনীতি ভুলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি। মেয়র এলাকা ছাড়তেই দুপুরে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। স্থানীয় কাউন্সিলর শচীন সিং অনুগামীদের নিয়ে পৌঁছে যান একেবারে নারকেলডাঙা থানায়। সেখানেই ধরনায় বসে পড়েন। তাঁকে দেখে এলাকার বিরোধী গোষ্ঠী আবার পিছু ধাওয়া করে থানার সামনে পৌঁছয়। কাউন্সিলর তাঁদের দিকে আঙুল তুলে অভিযোগ করেন, এরা কুখ্যাত সমাজবিরোধী পাপ্পু খানের দলবল, তাঁকে খুনের ষড়যন্ত্র করছে। এনিয়ে পুলিশের সামনেই দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়।
শনিবার রাতে নারকেলডাঙা এলাকায় খালপাড়ের ধারে একটি বসতিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। পুড়ে ছাই অন্তত ৪০টি ঝুপড়ি। সর্বস্ব হারিয়েছে আরও বহু পরিবার। দমকলের চেষ্টায় আগুন নিভে গেলেও রবিবার সকাল থেকে এনিয়ে এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত। প্রশাসনের গাফিলতিকে দুষে সর্বহারা বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের অভিযোগ, বেআইনি গুদাম থেকে আগুন লেগেছে। রবিবার মেয়র ফিরহাদ হাকিম এলাকায় গিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলে পাশে থাকার আশ্বাস দেন। জানান, বাংলার বাড়ি প্রকল্পে তাঁদের বাসস্থান পুনর্নির্মাণ করে দেবেন। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি শান্ত হয়নি।
মেয়র এলাকা ছেড়ে চলে যেতেই নারকেলডাঙা থানার সামনে গিয়ে ধরনায় বসেন ৩৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শচীন সিং। অথচ এলাকাবাসীর অভিযোগ, এই কাউন্সিলরই তোলাবাজিতে অভিযুক্ত। তিনি বেআইনি গুদামের অনুমতি দিয়েছেন। তাই এত বড় অগ্নিকাণ্ড।শচীন সিংয়ের আবার পালটা অভিযোগ, এভাবে উত্তেজনা ছড়ানোর নেপথ্যে রয়েছে এলাকার কুখ্যাত দুষ্কৃতী পাপ্পু খান ও তার দলবল। তারা নাকি কাউন্সিলরকে খুনের চক্রান্ত করছে। এনিয়ে পুলিশের সামনেই দুপক্ষের হাতাহাতি শুরু হয়। পরিস্থিতি সামলাতে গেলে পুলিশের সঙ্গেও সংঘর্ষ হয়। কাউন্সিলরের অনুগামীরা বারবার অভিযোগ তুলছেন, এলাকায় অশান্তি করছে সমাজবিরোধী পাপ্পু খানের গোষ্ঠী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.