সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানে মঞ্চ তৈরি ঘিরে তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে বচসা, সংঘর্ষে সোমবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল দমদম রোড। ইট, পাথর ছোঁড়াছুঁড়ি হয় উভয় পক্ষের মধ্যে। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কলকাতা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দমদম রোডে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের সামনে সোমবার দুপুরে অশান্তি শুরু হয়। এখানে মঞ্চ তৈরি করা ঘিরেই অশান্তির সূত্রপাত। করোনা আবহে এবারের ২১ জুলাই পালিত হচ্ছে অন্যভাবে। কালীঘাটের তৃণমূল কার্যালয় থেকে দলীয় কর্মী, সদস্যদের উদ্দেশে বার্তা দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের নির্দেশে বুথে বুথে জায়ান্ট স্ক্রিনে শোনানো হবে দলনেত্রীর বক্তব্য। জানা গিয়েছে, দুপুরে সেই উদ্দেশ্যে দমদম রোডে জয়েন্ট স্ক্রিন লাগাচ্ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক মালা সাহার অনুগামীরা।
[আরও পড়ুন: CID’তেই আস্থা, হেমতাবাদের বিধায়ক মৃত্যুতে CBI তদন্তের আরজি খারিজ কলকাতা হাই কোর্টের]
অভিযোগ, বিদায়ী কাউন্সিলর গৌতম হালদারের অনুগামীরা বিধায়ক মালা সাহার অনুগামীদের বাধা দেয়। গৌতম হালদারের অনুগামী দীপক সাউ দলবল নিয়ে বিধায়ক মালা সাহা ঘনিষ্ঠ নেতানেত্রী ও তার অনুগামীদের ওপর চড়াও হয়। তাঁরা হুমকি দেন, মঞ্চ করতে দেবে না। বাকবিতণ্ডা থেকে শুরু হয়ে যায় সংঘর্ষ দু’পক্ষের মধ্যে ইট ছোঁড়াছুঁড়ি চলে।
[আরও পড়ুন: কাদের পরামর্শে রাজ্যে লকডাউনের নতুন সিদ্ধান্ত? সরকারকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন অধীর, সুজন]
আহতরা অভিযোগের সুরে বলছে, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে পার্টি অফিসে বসি। যারা মঞ্চ করছে, তারা এই পার্টি অফিসে বসে না। যখনই কোনও অনুষ্ঠান থাকে, পার্টি অফিসের সামনে ঘোরাফেরা করে, ঝামেলা করার চেষ্টা করে।” এই ঘটনা নিয়ে বিদায় কাউন্সিলর গৌতম হালদারকে ফোন করলে তিনি বলেন, ” কেউ মঞ্চ করুক বা শহিদের বেদিতে মাল্যদান করুক, আমাদের আপত্তি নেই। কী হচ্ছে, না হচ্ছে জানিনা।” পালটা মালা সাহার বক্তব্য, “গৌতম হালদারকে জিজ্ঞেস করুন এই ব্যাপারে। আমি কোনও কিছু বলব না।” তবে শহিদ দিবসের আগের দিন এধরনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় শাসক শিবিরের অস্বস্তি বাড়ল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।