Advertisement
Advertisement
Kolkata

উত্তরাখণ্ডের মতো মেঘভাঙা বৃষ্টির আশঙ্কা! বিপদসীমার বাইরে নয় কলকাতাও

কেন এমন কথা বলছেন পরিবেশবিদরা?

Cloud burst can be happened in Kolkata also | Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:February 8, 2021 9:44 am
  • Updated:February 8, 2021 11:31 am

স্টাফ রিপোর্টার: সংকটে পরিবেশ। আশঙ্কাজনক পাহাড়বাসীও। জানুয়ারিতে ‘ক্লাউড বার্স্ট’ বা মেঘ ভাঙা বৃষ্টি। তার সঙ্গে হিমবাহ ভেঙে ‘ফ্লাশ ফ্লাড’। এমনটা শোনা যায় না সচরাচর। ঠান্ডায় তো জমে থাকার কথা হিমবাহের। এমন সময়ে ভেঙে পড়ল কেন? কলকাতাতেও কি মেঘভাঙা বৃষ্টি হতে পারে? এমন বিপর্যয় কি এ শহরেও ঘটতে পারে? কী বলছেন পরিবেশবিদরা?

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোলের অধ্যাপক লক্ষ্মী শিবরামকৃষ্ণন জানিয়েছেন, নদীর স্বাভাবিক গতিপথ আটকে জায়গায় জায়গায় বাঁধ দেওয়াতেই গন্ডগোল। উত্তরাখণ্ড জুড়ে গড়ে উঠেছে একের পর এক জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। পিপল কোটি হাইড্রো প্রোজেক্ট, বিষ্ণুপ্রয়াগ প্রোজেক্ট, ঋষি গঙ্গা পাওয়ার প্রোজেক্ট। উত্তরাখণ্ডের গড় তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে এই প্রকল্পগুলি। যার ফলে ক্রমশ উষ্ণ হচ্ছে উত্তরাখণ্ডের শীতকাল।বছর পনেরো আগেও উত্তরাখণ্ডে শীতের তাপমাত্রা থাকত মাইনাস ৬ থেকে মাইনাস ১০ এর কাছাকাছি। এখন মেরেকেট তা হিমাঙ্কের দু’ডিগ্রি নিচে নামে। এমন আবহাওয়াতেই গলতে শুরু করেছে হিমবাহ? যার জন্য ধরে রাখতে পারছে না ভারি বরফের চাঁই।

Advertisement

[আরও পড়ুন : খাস কলকাতায় ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার প্রবাসী অধ্যাপকের পচাগলা দেহ, মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধন্দ]

মেঘভাঙা বৃষ্টি না স্রেফ হিমবাহ গলে পরার কারণে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল দেড়শো প্রাণ? উত্তর খুঁজতে শুরু হয়েছে বিতর্ক। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্ব উষ্ণায়নের এই প্রভাব কলকাতাতেও পড়তে পারে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওশেনোগ্রাফির অধ্যাপক সুগত হাজরা জানিয়েছেন, মেঘভাঙা বৃষ্টি এখন আর স্রেফ শোনা কথা নয়। কেউ ভাবতে পেরেছিল? শীতের এই সময় নন্দাদেবী হিমবাহের একটা অংশ ভেঙে পরবে ধউলি গঙ্গায়। বর্ষাকালে এমনটা হয়। মেঘভাঙা এই বৃষ্টি তিলোত্তমার মানুষও চাক্ষুষ করতে পারে। ডা. হাজরার কথায়, সমতল হওয়ায় এখানে প্রাণহানি হবে না। তবে জলের তলায় চলে যাবে শহরের নিচু এলাকা।

Advertisement

পরিসংখ্যান বলছে ক্রমশ বৃষ্টি বাড়ছে এ শহরে। সাধারণত মেঘভাঙা বৃষ্টির ক্ষেত্রে একঘণ্টায় ১০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়। সুগত হাজরা জানিয়েছেন, গভীর পর্যবেক্ষণে প্রমাণিত গত ৭০ বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে পশ্চিম উপকূলীয় এলাকা ও মধ্য ভারতে অতিপ্রবল বৃষ্টি প্রায় তিন গুণ বেড়ে গিয়েছে। ভারী বৃষ্টিও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। তবে বঙ্গোপসাগরের তুলনায় আরব সাগরের উষ্ণতা বৃদ্ধি বেশি হচ্ছে। যে কারণে মুম্বইয়ের কপালে চিন্তার ভাঁজ।

প্রতি বছর জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বাড়ছে এবং সেটাই বর্ষাকালে পশ্চিম ও মধ্য ভারতে অতিবৃষ্টি বাড়াচ্ছে। এই উষ্ণায়নের পিছনে কার্বন দূষণকেও দায়ী করেছেন অধ্যাপক হাজরা। উল্লেখ্য, গতবছরই আমফান ঘূর্ণিঝড়ে তছনছ হয়ে গিয়েছিল কলকাতা। সমীক্ষা বলছে প্রতি ১০ বছরে ৮ শতাংশ করে শক্তি বাড়াচ্ছে এহেন ঘূর্ণিঝড়। অধ্যাপকের কথায়, এখনই সচেতন হয়ে বিশ্ব উষ্ণায়ন না ঠেকাতে পারলে বন্যা দেখতে পাবে কলকাতা। প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে স্বস্তি নেই কলকাতারও।

[আরও পড়ুন : পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তা পরিচয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ, আর্থিক প্রতারণার চেষ্টা! শুরু তদন্ত]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ