সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলার শিল্পবান্ধব পরিবেশ এখন পরিচিত সর্বত্র। দেশ হোক বা বিদেশ, লগ্নি টানতে কতটা আগ্রহী রাজ্য সরকার, তা বারবার স্পষ্ট করেছে খোদ মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর উপর ভরসা করে গত কয়েকবছরে এরাজ্যে শিল্পের বিকাশ ঘটেছে। সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে শালবনিতে জিন্দলদের তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র এবং গোয়ালতোড়ের সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র। সোম এবং মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুরে জোড়া শিল্পের উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই শিল্পস্থাপন নিয়ে যে বিরোধীরা ‘গল্প’ বলে উড়িয়ে দেন, সেই কুৎসার জবাবও দিলেন তিনি। বোঝালেন, ‘গল্প’ই আসলে যে কোনও কাজের অনুপ্রেরণা।
মঙ্গলবার মেদিনীপুর কলেজ মাঠের প্রশাসনিক সভা থেকে রিমোটের মাধ্যমে গোয়ালতোড়ের সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন। গোয়ালতোড়ের জিরাপাড়ায় দুর্গাবাঁধ সরকারি বীজ খামারের জমিতে ৭৫৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ১১২.৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। যেখানে জার্মানির একটি সংস্থা ৮০ শতাংশ অর্থ বিনিয়োগ করেছে। রাজ্য সরকার বিনিয়োগ করেছে ২০ শতাংশ অর্থ। মূল তত্ত্বাবধানে রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানি লিমিটেড। পূর্ব ভারতে এই প্রকল্প এর আগে গড়ে ওঠেনি বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর। তাঁর আশ্বাস, এতে বিদ্যুতের দাম কমব।
এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ”অনেকেই তো বলেন, এসব নাকি গল্প। আমি বলি, গল্প শোনা তো জরুরি। অনেকের জীবনে অনেক রকম গল্প থাকে। কারও বেড়ে ওঠার গল্প, কারও সংগ্রামের গল্প। সেসব গল্প থেকে অনেক কিছু তৈরি হয়। হয়ত শিল্প তৈরির পিছনেও এরকম গল্প থাকে। তাই আমি বলি, গল্প থেকেও শিল্প হয়।” আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের জীবনও খুব সংগ্রামী। মাঝেমধ্যেই নিজের জীবনের ছোটখাটো গল্প জনসভায় বলে থাকেন। এও বলেন, সেসব ঘটনা তাঁর জীবনে অনেক দিশা দেখিয়েছে, উদ্বুদ্ধ করেছে। তাঁর কর্মকাণ্ডকে ‘গল্প’ বলে কটাক্ষ করা বিরোধীদের উদ্দেশে আজও এভাবেই জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.