স্টাফ রিপোর্টার: রাজ্য বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনের ভাষণ দেওয়ার ইচ্ছেপ্রকাশ করেছেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়। তাঁর দূত মারফত স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এই সংক্রান্ত আবেদন জানিয়েছেন উপরাষ্ট্রপতি তথা বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল। ধনকড়ের এই ইচ্ছেকে স্বাগত জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার বিধানসভায় বাজেট পেশ হওয়ার পর সাংবাদিক বৈঠকে এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ভালোই তো, ওঁর বাংলার কথা মনে পড়েছে। যখন কোনও স্পেশাল সেশন করব ওঁকে (ধনকড়) ডাকব।”
প্রসঙ্গত, দিন পনেরো আগে দূত মারফত বিধানসভায় ভাষণ রাখার ইচ্ছেপ্রকাশ করেছিলেন ধনকড়। জানিয়েছিলেন, রাজ্যের বার্তা তিনি পড়ে শোনাতে চান। তা জানতে পেরে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে জানান, ”এখন বাজেট অধিবেশন চলছে। এরপর বিশেষ অধিবেশন ডেকে বক্তব্য পেশের ব্যবস্থা করা হবে।” বুধবারও সেকথাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন, বিশেষ অধিবেশন হলে সেখানেই উপরাষ্ট্রপতি তথা বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে আমন্ত্রণ জানানো হবে। এতেই স্পষ্ট, অতীতের তিক্ততা ভুলে সাংবিধানিক পদের মর্যাদা সম্পূর্ণ অক্ষুণ্ণ রাখতে তৎপর রাজ্য সরকার।
উল্লেখ্য, বাংলা বিধানসভায় ধনকড়ের ভাষণ দিয়ে রাজ্যের বার্তা পড়ে শোনানোর ইচ্ছেপ্রকাশ নিঃসন্দেহে বিশেষ আলোচনার বিষয়। তার অন্যতম কারণ, তিনি বাংলার রাজ্যপাল থাকাকালীন রাজভবনের সঙ্গে নবান্নের নজিরবিহীন তিক্ত সম্পর্ক। নানা কারণে রাজ্য সরকারের সঙ্গে তাঁর মতানৈক্য লেগেই থাকত। রীতি মেনে বিধানসভা অধিবেশনের সূচনা হয়ে থাকে সাংবিধানিক প্রধানের বক্তব্য দিয়ে। কিন্তু নবান্নের সঙ্গে সংঘাতের আবহে অনেক সময়েই দেখা গিয়েছে, বিধানসভায় বক্তব্য পেশ এড়িয়ে গিয়েছেন ধনকড়। বাংলার রাজ্যপাল হিসেবে তাঁর মেয়াদ শেষ হতেই তিনি উপরাষ্ট্রপতি অর্থাৎ সংসদের উচ্চকক্ষের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এবার তিনিই বাংলার বিধানসভায় ভাষণ দিতে চেয়ে নিজেই আগ্রহ প্রকাশ করলেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.