Advertisement
Advertisement

Breaking News

সোমেন মিত্র

সোমেন মিত্রর প্রয়াণে শোকাহত মমতা, বৈরিতা ভুলে ‘অভিভাবক’কে স্মরণ অধীরের

শোকজ্ঞাপন করলেন রাহুল গান্ধী, জগদীপ ধনকড়, মহম্মদ সেলিমরা।

Condolence pour in after the Death of WB PCC chief Somen Mitra
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:July 30, 2020 9:43 am
  • Updated:July 30, 2020 9:43 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রর (Somen Mitra) প্রয়াণে শোকস্তব্ধ রাজনৈতিক মহল। তাঁর রাজনৈতিক সহকর্মী, বাংলার কংগ্রেসি ভাবধারার মানুষেরা তো বটেই, বিরোধী শিবিরের নেতানেত্রীরাও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির মৃত্যুতে শোকাহত। আসলে বঙ্গ রাজনীতির অন্যতম প্রবীণ এই নেতা দলমতের ঊর্ধ্বে গিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছিলেন। বঙ্গ রাজনীতির আঙিনা পেরিয়ে জাতীয় স্তরের রাজনীতিতেও অতি পরিচিত নাম হয়ে উঠেছিলেন’ছোড়দা’। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর মৃত্যুতে গোটা দেশের রাজনৈতিক মহল শোকস্তব্ধ।

রাজনৈতিক সমীকরণ যেমনই হোক, সোমেন মিত্রর প্রয়াণ যে বাংলার রাজনীতির জন্য বড় ক্ষতি তা একবাক্যে স্বীকার করে নিচ্ছে ডান-বাম সব পক্ষই। রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেস ছেড়েছিলেন সোমেন মিত্র প্রদেশ সভাপতি থাকাকালীনই। সোমেন মিত্র পরে মমতার দল তৃণমূলে যোগ দিয়েও বেশিদিন থাকেননি। আসলে কোনওদিনই বাংলার দুই জনপ্রিয় নেতার মতের মিল হয়নি। এই মমতাও (Mamata Banerjee) সোমেনের প্রয়াণে শোক জ্ঞাপন করলেন। মুখ্যমন্ত্রী বললেন,”সোমেন মিত্রর মৃত্যুর খবরে আমি স্তম্ভিত। ওঁর পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।”

Advertisement

 

Advertisement

বর্তমানে বঙ্গ কংগ্রেসের সবচেয়ে বড় নাম অধীর চৌধুরীর (Adhir Ranjan Chowdhury) কংগ্রেসি রাজনীতিতে উত্থান সোমেনের হাত ধরেই। ইদানীং অবশ্য দুই নেতার সম্পর্ক ভাল যাচ্ছিল না। মতবিরোধ হচ্ছিল একাধিক ইস্যুতে। কিন্তু সেই বৈরিতা ভুলে রাজনৈতিক অভিভাবক’কে স্মরণ করলেন অধীর। বললেন,”সোমেন মিত্র আর নেই এটা ভাবতে পারছিনা, বাংলার একটা অধ্যায় সমাপ্ত হলো। সংগ্রাম করে, প্রতিকূলতার মোকাবিলা করে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আমার রাজনৈতিক অভিভাবক, আমাকে জনপ্রতিনিধি করার মূল কারিগর সোমেন দা কে হারিয়ে আমি দুঃখে কাতর ও বেদনাহত হলাম”

[আরও পড়ুন: বাংলার রাজনীতিতে ইন্দ্রপতন, প্রয়াত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র]

একসময় সিপিএমের তীব্র বিরোধী ছিলেন সোমেন। আবার পরে তাঁর নেতৃত্বেই পোক্ত হয় বাম-কংগ্রেস জোট। সেই সোমেন সম্পর্কে সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম বললেন,”ছোটবেলা থেকে রাজ্যের যে ক’জন রাজনৈতিক নেতার নাম শুনেছি, তার মধ্যে অন্যতম সোমেন মিত্র। ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকলেও শ্রদ্ধার সম্পর্ক ছিল। পরে বাম-কংগ্রেস বন্ধুত্বের পর থেকে আরও কাছাকাছি এসেছিলাম। সকালে উঠে খবরটা শুনে অত্যন্ত ব্যথা অনুভব করছি। পরিবাররে সকলের প্রতি সমবেদনা রইল।”

[আরও পড়ুন: আজই শেষযাত্রায় সোমেন মিত্র, চলছে প্রিয় নেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর প্রস্তুতি]

প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) তাঁর শোকবার্তায় বললেন,”আমরা সোমেন মিত্রকে ভালবাসা, সম্মান এবং সুখ্যাতির সঙ্গে মনে রাখব। ওঁর পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল।” রাজ্যের কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক গৌরব গগই বলছিলেন, “আমার হৃদয় বিদীর্ণ। বাংলার লক্ষ লক্ষ জীবন বদলে দিয়েছেন সোমেনদা।” রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও সোমেনের মৃত্যুতে শোকাহত। তিনি বলছিলেন,”সোমেন মিত্রর মৃত্যুতে আমি স্তব্ধ। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে ওঁর পরামর্শে চরম উপকৃত হয়েছি।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ