BREAKING NEWS

১০ চৈত্র  ১৪২৯  শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

উদ্বেগ বাড়াচ্ছে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি, ফের সর্বদল বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী

Published by: Subhamay Mandal |    Posted: June 22, 2020 3:20 pm|    Updated: June 22, 2020 6:50 pm

Corona graph climbing day by day, Mamata opts for All Party Meeting

কৃষ্ণকুমার দাস: রাজ্যের করোনা সংক্রমণের হার দিন দিন বাড়ছে। লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। তবে তার মধ্যেও স্বস্তি দিচ্ছে রাজ্যে সুস্থতার হার। এই পরিস্থিতিতে আগামী বুধবার ফের একবার সর্বদল বৈঠক ডাকলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। প্রথমে এই বৈঠক তিনি রাজ্য বিধানসভায় স্পিকারের ঘরে ডেকেছিলেন এই বৈঠক। কিন্তু বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banerjee) জানিয়েছেন, তাঁর ঘরে পর্যাপ্ত জায়গা নেই এত জনপ্রতিনিধি একসঙ্গে বসার। তাই করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন, নবান্নের সভাঘরে বৈঠক ডাকতে। সেইমতো মুখ্যমন্ত্রী আগামী বুধবার নবান্নের সভাঘরে বৈঠক ডেকেছেন। সেখানে রাজ্য বিধানসভার সব দলের প্রতিনিধিরা থাকবেন।

প্রসঙ্গত, এর আগে ২৩ মার্চ সর্বদল বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইসময় করোনা রুখতে রাজ্যে প্রথম লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন মমতা। সেই বৈঠকের ঠিক তিন মাস পর ফের সর্বদল বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রথমে রাজ্য বিধানসভায় এই বৈঠক করার কথা জানিয়ে ছিলেন তিনি। যেহেতু করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন ধরে রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন বন্ধ। কিন্তু স্পিকার মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, বিধানসভায় তাঁর ঘরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এত জনপ্রতিনিধি একসঙ্গে বসে বৈঠকে সমস্যা রয়েছে। তাই নবান্নের সভাঘরে বৈঠক অনুষ্ঠিত করার কথা মুখ্যমন্ত্রীকে জানান তিনি। ইতিমধ্যেই সর্বদল বৈঠকে থাকার জন্য দিলীপ ঘোষকে ফোন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কংগ্রেস পরিষদীয় দলের নেতা তথা বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নানকেও নবান্নে সর্বদল বৈঠকে থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে ফোন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। মান্নান জানিয়েছেন, তিনি জরুরি কিছু কাজে বাইরে থাকবেন। তবে দলের প্রতিনিধিত্ব করতে অবশ্যই কাউকে পাঠানো হবে।

[আরও পড়ুন: আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ বণ্টনে ব্যাপক কারচুপি, ৫ বিডিওকে শোকজ করল রাজ্য]

উল্লেখ্য, স্বাস্থ্যদপ্তর জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা কেড়েছে ১৫ জনের প্রাণ। যার মধ্যে কলকাতায় ছ’জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনার বলি ৫৫৫ জন। কলকাতায় প্রাণ হারিয়েছেন মোট ৩২৯ জন। তবে কোভিড মোকাবিলায় শক্ত হাতেই লড়াই চালাচ্ছে স্বাস্থ্যদপ্তর। ব্যাপক পরিমাণ নমুনা টেস্টই তার প্রমাণ। এখনও পর্যন্ত বাংলায় মোট ৪ লক্ষ ১ হাজার ৪৯১টি স্যাম্পেল টেস্ট হয়েছে। একদিনে টেস্টের সংখ্যা ১০ হাজার ৫৪৯। রাজ্যে মোট ৮ হাজার ২৯৭ জন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন। সুস্থতার হার ৫৯.৪৯ শতাংশ। এই সংখ্যাটাই যেন করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহস জোগাচ্ছে বঙ্গবাসীকে।

[আরও পড়ুন: ‘মমতা চিনের সঙ্গে যুদ্ধ চান, হিম্মত নেই মোদির’, ফের বিতর্কিত মন্তব্য অনুব্রতর]

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে