Advertisement
Advertisement
কনটেনমেন্ট জোন

রাজ্যে বাড়ল সংক্রমক এলাকার সংখ্যা, কলকাতায় তিনশোরও বেশি কনটেনমেন্ট জোন

রাজ্যে মোট করোনামুক্ত ২৬৫ জন বলে জানান স্বরাষ্ট্রসচিব।

Coronavirus Crisis: Containment zone has increased in West Bengal

ছবি প্রতীকী

Published by: Sulaya Singha
  • Posted:May 6, 2020 6:47 pm
  • Updated:May 6, 2020 6:53 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথম ও দ্বিতীয় দফার তুলনায় তৃতীয় দফায় দেশজুড়ে লকডাউন অনেকটাই শিথিল। ব্যতিক্রমী নয় বাংলাও। এ রাজ্যেও শর্তসাপেক্ষে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। গ্রিন জোনে চলছে বাস। খুলেছে মদের দোকানও। এই শিথিলতাই কি ভয়ংকর ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দিচ্ছে? পরিসংখ্যান দেখে কিন্তু সেই সম্ভাবনা সম্পূর্ণ উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কারণ ২৪ ঘণ্টায় যেমন লাফিয়ে বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা, তেমনই বেড়েছে রাজ্যের কনটেনমেন্ট জোনও।

বুধবার নবান্নে স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে জানান, রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৫৬। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১১২ জনের শরীরে মিলেছে মারণ ভাইরাস। মৃত্যু হয়েছে আরও চারজনের। অর্থাৎ এখনও পর্যন্ত এ রাজ্যে করোনার বলি ৭২। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন একজন। রাজ্যে মোট করোনামুক্ত ২৬৫ জন বলে জানান স্বরাষ্ট্রসচিব। তবে অনেকটাই বাড়ল কনটেনমেন্ট জোন বা সংক্রমক এলাকার সংখ্যা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কোভিড হাসপাতাল হিসাবে কাজ করবে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, টুইটে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর]

মালদায় তিনটি জায়গাকে সংক্রমক এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় যে একটিমাত্র সংক্রমক এলাকা ছিল, সেটি বেড়ে হল ২২। উত্তর ২৪ পরগনাতেও বেড়েছে সংক্রমক এলাকা। বর্তমানে সেখানে ৮৫টি এলাকাকে সিল করা হয়েছে। তবে হাওড়া ও নদিয়ায় নতুন করে আর কোনও এলাকা কনটেনমেন্ট জোনের আওতায় ঢোকেনি। কিন্তু উদ্বেগ বাড়িয়েছে কলকাতার সংখ্যা। শহরে সংক্রমক এলাকা হিসেবে চিহ্নিত ৩৩৪টি জায়গা।

Advertisement

রাজ্যে করোনার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “করোনা সংক্রমণ রুখতে বিদেশি বিমানের পরিষেবা বন্ধের কথা প্রথম বলে রাজ্যই। গ্লোবাল অ্যাডভাইজারি বোর্ডও তৈরি করা হয়েছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য মাসিক ১ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে। এতে আড়াই লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক উপকৃত হয়েছেন। সামনের সারির করোনা যোদ্ধাদের জন্য ১০ লক্ষ টাকার বিমার ঘোষণা করেছে রাজ্য। বাংলার ৬ কোটি বাড়িতে পৌঁছেছেন আশা কর্মীরা। করোনায় বেশি টেস্ট করাতে চায় রাজ্য সরকার। রাজ্যে ১৫টি ল্যাবে চলছে করোনা টেস্ট। তবে কেউ চাইলেই করোনা পরীক্ষা করাতে যেতে পারবেন না। কারণ টেস্ট নিয়ে আইসিএমআরের সুনির্দিষ্ট বিধি রয়েছে।”

[আরও পড়ুন: ‘মৃত্যুর হার রনজি ট্রফির ম্যাচ নয়’, করোনা নিয়ে পালটা কেন্দ্রকে তোপ তৃণমূলের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ