কৃষ্ণকুমার দাস: ১ জুন থেকে খুলে যাচ্ছে কলকাতার পুর বাজারগুলি। তবে কোনও বাজার যদি কনটেনমেন্টের জোনের আওতায় থাকে, সেগুলি খোলা হবে না বলেই খবর। সোমবার থেকে জোড়-বিজোড় নীতি মেনেই শহরের পুর-বাজারের দোকানগুলি খোলা হবে। তবে শনিবার কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, বাজার খোলার পর আশপাশের এলাকায় করোনা রোগীর সন্ধান পাওয়া গেলে, বাজারগুলি ফের বন্ধ করে দেওয়া হবে। একইসঙ্গে কোন দোকানে কতজন গ্রাহক দাঁড়াতে পারবেন, কতক্ষণ বাজার খোলা থাকবে তাও কলকাতা পুরসভার তরফে বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
লকডাউন শুরু হতেই বন্ধ হয়েছিল কলকাতা পুরসভার নিয়ন্ত্রণে থাকা বাজার ও শপিং মলগুলি। সোমবার থেকে শর্তসাপেক্ষে আবার চালু হচ্ছে নিউ মার্কেট, এন্টালি বাজার, গড়িয়াহাট বাজার-সহ পুরসভার অধীনস্থ ৪৬টি বাজার। জানা গিয়েছে, পুরসভার অধীনস্থ ৪৬টি বাজারই কনটেনমেন্ট জোনের আওতার বাইরে। কারণ সম্প্রতি, কনটেনমেন্ট জোনের আয়তন কমানো হয়েছে। তবে রবিবার সন্ধে পর্যন্ত নতুন করোনা আক্রান্তের তালিকা দেখে বাজার খোলার অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ। তাঁর কথায়, রবিবার যদি দেখা যায় বাজার সংলগ্ন এলাকায় কেউ আক্রান্ত হয়েছেন, তাহলে সেই বাজার নাও খোলা হতে পারে। পুরসভার নির্দেশে বাজার খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫.৩০টা পর্যন্ত। তার পরে বাজারের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কলকাতা পুরসভা।
[আরও পড়ুন : সোমবার থেকে খুলে যাচ্ছে মোটর ভেহিকলস দপ্তর, লাইসেন্স থেকে রেজিস্ট্রেশন সব কাজই চলবে]
লকডাউনে শুধুমাত্র ফল-সবজি সহ অত্যাবশ্যক সামগ্রী ছাড়া অন্যান্য পণ্য বিক্রি বন্ধ রাখা হয়েছে। বড় দোকানগুলি একসঙ্গ পাঁচজন গ্রাহক ঢুকতে পারবেন। আর ছোট দোকানগুলিতে সর্বাধিক দুজন। তবে দোকানদার ও গ্রাহক দুজনকেই মাস্ক পরতে হবে। বাজারে যাতে একসঙ্গে অনেকে না ঢুকে পড়েন, তা দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এক বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের। তবে সেদিকে নজর রাখবে স্থানীয় পুলিশও। গায়ের জোর স্থানীয় বাসিন্দারা বাজারে ভিড় জমালে বন্ধ করে দেওয়া হবে বাজার।বাজারের বাইে রাখা থাকবে সাবান ও জল। হাত ধুয়ে তবেই ঢোকা যাবে বাজারে। বাজার খোলার আগে স্যানিটাইজেশন করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ মে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞপ্তি মারফৎ কলকাতা শহরকে করোনা সংক্রমণের এ, বি এবং সি জোনে ভাগ করা হয়। কোথায় কোন দোকান খোলা হবে তাও বেঁধে দেওয়া হয়। সেই নিয়ম মেনেই সোমবার থেকে বাজারগুলি খোলা হবে।