Advertisement
Advertisement

Breaking News

Calcutta High Court

আদালতের উদ্যোগে ইকো পার্কে সময় কাটিয়েও মন গলল না, ফের ডিভোর্সের দাবি দম্পতির

সম্পর্কের বাঁধন শক্ত করতে ইকো পার্ক সংলগ্ন একটি বাড়ি বুকিংয়ের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন বিচারপতি।

Court instructed couple to spend time at Eco Park, initiative fails as they files for divorce again | Sangbad Pratidin
Published by: Suparna Majumder
  • Posted:November 28, 2022 2:20 pm
  • Updated:November 28, 2022 3:06 pm

গোবিন্দ রায়: সম্পর্ক জোড়া লাগাতে উদ্যোগী হয়েছিল হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। খোদ বিচারপতি সমস্ত ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। কিন্তু আদালতের হস্তক্ষেপেও জোড়া লাগল না সম্পর্ক। ফের বিচ্ছেদ চেয়ে মামলা দায়ের হল কলকাতা হাই কোর্টে। মামলার শুনানি রয়েছে বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে।

সাড়ে আট বছরের গাঁটছড়া জুড়তে উদ্যোগ নিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। সম্পর্কের বাঁধন শক্ত করতে স্বামী-স্ত্রী যুগলকে ২ দিন ইকো পার্কে সময় কাটানোরও পরামর্শ দেন হাই কোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ। শুধু তাই-ই নয়, নিউটাউন ইকো পার্ক সংলগ্ন একটি বাড়ি বুকিংয়ের ব্যবস্থা করে দেন খোদ বিচারপতি। বিচারপতি চন্দের পরামর্শ মেনে ইকো পার্কের যাওয়ার পাশাপাশি, বাড়িভাড়া ও সঙ্গে অন্যান্য খরচ করে আপাতত ২ রাত ইকো পার্কে কাটাতেও রাজি হয়েছে দু’জন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জোড়া লাগল না সম্পর্ক।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘গোটা মন্ত্রিসভার জেল চাই’, নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিধানসভায় হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর]

আবারও বিচ্ছেদ সংক্রান্ত নিম্ন আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হল হাই কোর্টে।
তবে এই সংক্রান্ত মামলার সঙ্গেই যুক্ত, স্বামীর বিরুদ্ধে ওঠা বধূ নির্যাতনের মামলা খারিজ করে দিয়েছে হাই কোর্ট। স্বামীর আইনজীবী মণিশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘‘স্বামীর বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের মিথ্যে অভিযোগ তোলা হয়। যা আদালতে প্রমাণিত হয়ে যায়। শাশুড়ি মারা যাওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তোলা হয়। কিন্তু সেই সংক্রান্ত নথি আদালতে জমা পড়ায় বধূ নির্যাতনের মামলা খারিজ করে দিয়েছে আদালত।’’

Advertisement

কলকাতারই বাসিন্দা দু’জন। তবে একজন উত্তর কলকাতার, আরেকজন দক্ষিণের। বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই তাঁদের প্রেমের সূত্রপাত। সেই থেকেই প্রায় হাফ যুগ প্রেমের পর গাঁটছড়া বাঁধার সিদ্ধান্ত নেন দু’জন। দু’জনেই শিক্ষিত। প্রতিষ্ঠিত। রয়েছে মোটা অঙ্কের বেতনও। স্ত্রী কর্মরত সল্টলেক সেক্টর ফাইভের নামী আইটি সেক্টরে নামী কোম্পানিতে। অন্যদিকে, স্বামী উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মচারী।

প্রায় ৬ বছরের প্রেম হলেও, দাম্পত্য জীবন জমিয়ে শুরুর আগেই বিয়ের তিন মাসের মাথায় তার ছন্দপতন। কিছু ভুল বোঝাবুঝি থেকে সম্পর্কে চিড়। সেই থেকে বৈবাহিক জীবনের ৮ বছরের পুরনো সম্পর্কে দূরত্ব শুধু বেড়েছে বই কমেনি। পরস্পরের প্রতি বিশ্বাসও তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। যা নিয়ে আলিপুর আদালতে বিচ্ছেদের মামলা দায়ের হয়। নিম্ন আদালতে তা সিলমোহর পেলেও তাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের হয় হাই কোর্টে। সেই মামলাতেই বিচ্ছেদ আটকাতে উদ্যোগ নিয়েছিল হাই কোর্ট। তবে তাতে লাভ বিশেষ হল না। আবারও বিচ্ছেদ চেয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ দম্পতি। 

[আরও পড়ুন: ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল জিতবে’, আদালতে ঢোকার আগেও আত্মবিশ্বাসী পার্থ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ