১৬ জ্যৈষ্ঠ  ১৪৩০  বুধবার ৩১ মে ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

কলেজে সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর ‘অবৈধ’ চাকরি! টুইট করে নথি প্রকাশ্যে আনল তৃণমূল

Published by: Sucheta Sengupta |    Posted: March 23, 2023 3:45 pm|    Updated: March 23, 2023 8:02 pm

CPM leader Sujan Chakraborty's wife was illegally recruited in college, TMC releases document in tweet | Sangbad Pratidin

ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: অভিযোগ তোলার পর এবার শিক্ষক নিয়োগ অভিযোগে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর (Sujan Chakraborty) যোগসাজশের নথি প্রকাশ্যে আনল তৃণমূল। টুইট করে সেই নথি সামনে আনা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজে সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলি ভট্টাচার্যের চাকরি হয়েছিল স্রেফ সুপারিশের উপর ভিত্তি করে। টানা ৩৪ বছর ধরে তিনি মোটা অঙ্কের বেতনে সেখানে চাকরি করেছেন। প্রমাণ হিসেবে সেই সময় মিলি ভট্টাচার্যের লেখা চিঠি টুইট করেছে তৃণমূল (TMC)।

বৃহস্পতিবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আলিপুর আদালতে পেশ করার সময় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই কেলেঙ্কারিতে তিন নেতার নাম বলেন – সুজন চক্রবর্তী, দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী। তাঁরাও যে এই দুর্নীতিতে জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত হোক, এই দাবি করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সিপিএম আমল থেকে এই দুর্নীতির সূত্রপাত বলেই তাঁর দাবি। প্রসঙ্গত, পার্থর এই দাবির ঠিক আগেই তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) এই তিনজনের নামেই টুইট করেছিলেন। একই সুরে পার্থ-কুণাল কথা বলছেন বলে বিরোধীরা শোরগোল তুলেছিলেন।

[আরও পড়ুন: ইডির হাতে পুরসভায় নিয়োগে বাম আমলের নথিও, খতিয়ে দেখছেন ফিরহাদ]

এরপরই সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরির নথি প্রকাশ্যে এনে প্রমাণ দিল তৃণমূল। ১৯৮৭ সালের ১ আগস্ট থেকে দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজে ইনস্ট্রুমেন্ট কিপার পদে চাকরিতে যোগ দেন সুজনবাবুর স্ত্রী মিলি ভট্টাচার্য। সেই মর্মে কলেজের অধ্যক্ষকে লেখা তাঁর চিঠিটি নথি হিসেবে তুলে ধরেছে তৃণমূল, টুইট করে। কিন্তু অভিযোগ, পরীক্ষাও দেননি তিনি, কোথাও কোনও নামও ছিল না। স্রেফ সুপারিশের ভিত্তিতেই ওই চাকরি হয়েছিল তাঁর। মোটা অঙ্কের বেতনও পেতেন। ২০২১ সালে সেই পদ থেকে অবসর নেন মিলি ভট্টাচার্য। পাশাপাশি, কুণাল ঘোষ সাংবাদিক সম্মেলন করে অভিযোগ করেন, ”হরপ্রসাদ সমাদ্দার তৎকালীন প্রিন্সিপাল ছিলেন। দেখা যাচ্ছে, তিনি সুজনদার স্ত্রীকে নিয়োগ দিচ্ছেন। তৃণমূল ব্যক্তি আক্রমণ পছন্দ করে না। তাহলে ২০১১ সাল থেকে বলা যেত। কিন্তু রুচির বাইরে হলেও বলতে হচ্ছে, যাঁরা কাদা ছুঁড়ছে, তাঁরা কাচের ঘরে বসে ঢিল ছুড়ছে।”

বিষয়টি নিয়ে সুজন চক্রবর্তীর অবশ্য পালটা দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি ভিত্তিহীন। বিপাকে পড়ে নিজেকে বাঁচাতে এখন এসব অভিযোগ করছেন। 

[আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাপী মন্দার মাঝেই আশার আলো, চলতি বছরে ভারতীয়দের বেতন বাড়তে পারে ১০.২ শতাংশ]

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে