সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তথাকথিত প্রাচীনপন্থায় সমস্ত কাজ সাদামাটা তো বটেই, আজকাল বিপজ্জনকও। এটা একেবারে হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে পক্ককেশের কমরেডকুল। আধুনিক সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যেমন জনসমর্থন ফিরে পেতে সোশাল মিডিয়ার ব্যবহার ব্যাপকভাবে বাড়িয়েছে সিপিএম, তেমনই নিজেদের মধ্যে সংযোগের ক্ষেত্রেও কৌশল বদল হচ্ছে। সরাসরি ফোনে আর কথা নয়। যা কিছু আলোচনা, সে রাজনৈতিক হোক কিংবা নিছক আড্ডা – সব এবার হবে হোয়াটসঅ্যাপ কলে। এমনই জানা যাচ্ছে আলিমুদ্দিনের অন্দরে কান পাতলে।
কিন্তু কেন আচমকা এত বদল? কারণটা কলতান দাশগুপ্তর গ্রেপ্তারি। জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনে হামলা নিয়ে সিপিএম যুব নেতার সঙ্গে জনৈক ব্যক্তির কথোপকথনের অডিও ভাইরাল হওয়ায় তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন। কথোপকথনের একটি কণ্ঠ কলতানের বলে দাবি বিধাননগর পুলিশের। এর পরই সরাসরি ফোনে কথা ছেড়ে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগের দিকে ঝুঁকলেন দলের নেতা-কর্মীরা।
সল্টলেকে জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনামঞ্চ ওড়ানোর ভয়ংকর ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। এর সপক্ষে তিনি একটি অডিও ক্লিপ সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। তাতে কলকাতার ডিওয়াইএফআই নেতা কলতান দাশগুপ্তর কণ্ঠস্বর পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কলতানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতও হয়েছে তাঁর। কীভাবে কলতানের কথোপকথন এভাবে ফাঁস হল, তা নিয়ে সংশয়ে সিপিএম। পেগাসাসের মতো প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বামেরা। সুজন চক্রবর্তীর অভিযোগ, AI-এর মাধ্যমে এটা করা হয়েছে।
কারণ যাই হোক, এই ঘটনা থেকে চটজলদি শিক্ষা নিয়েছে লাল পার্টি। নিজেরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে অতি সাবধানতা অবলম্বন করছেন দলের নেতা-কর্মীরা। বর্ধমান, হাওড়া থেকে উত্তরবঙ্গ – রবিবার থেকে তাঁরা নাকি হোয়াটসঅ্যাপ কলেই নিজেরা কথাবার্তা বলছেন। কোনও রাজনৈতিক আলোচনা হোক কিংবা বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা। একে অপরকে বলছেন, নেট অন করে হোয়াটসঅ্যাপে কল করতে। কিন্তু অনেক কমরেডই তো এখনও স্মার্টফোনে অভ্যস্ত নন। তাহলে তাঁরা হোয়াটসঅ্যাপ কীভাবে ব্যবহার করবেন? এই প্রশ্নের জবাব অবশ্য নেই আলিমুদ্দিনের অন্দরে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.