Advertisement
Advertisement

Breaking News

Left Front

প্রয়োজনে বামফ্রন্ট ছাড়তে পারে শরিকরা, ভোটে ব্যর্থতার পর কড়া হচ্ছে সিপিএম

শনিবার বামফ্রন্টের বৈঠক ডেকেও তা বাতিল করলেন ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু।

CPM will not take any responsibility of their allies in Left Front | Sangbad Pratidin
Published by: Abhisek Rakshit
  • Posted:June 5, 2021 9:09 pm
  • Updated:June 5, 2021 9:11 pm

বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: রাজনীতির আঙিনায় নিজের বেঁচে থাকার লড়াই। তাই শরিকদের দায় নিতে নারাজ আলিমুদ্দিন। শরিকদের সম্পর্কে এমনই কড়া মনোভাব সিপিএমের। ফ্রন্ট শরিকদের বামফ্রন্ট ভেঙে দেওয়ার দাবির পালটা কড়া জবাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত কমরেডকুলের শিরোমনিদের। পার্টির মনোভাব লিখিতভাবে শরিকদের জানিয়ে দেওয়ারও সিদ্ধান্তও নিয়েছেন বিমান বসুরা। বাবা-বাছা করে মাথায় হাত বুলিয়ে ধরে রাখা নয়। শরিকদের চাপের কাছে নতিস্বীকার ও আবেদন-নিবেদনের পথে হাঁটবে না পার্টি। প্রয়োজন মনে হলে বামফ্রন্ট ছেড়ে বেড়িয়ে যেতে পারে শরিকরা। এমনই কড়া অবস্থান আলিমুদ্দিনের। রাজ্য বামফ্রন্ট টিকিয়ে রাখার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে সিপিএম এমনই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে বলে আভাস মিলেছে।

শনিবার বামফ্রন্টের বৈঠক ডেকেও বাতিল করেন ফ্রন্ট চেয়ারম্যান। তার আগে অবশ্য ফরওয়ার্ড ব্লকের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করে সিপিএম। সেখানে জোট নিয়ে সিপিএমের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন শরিক নেতারা। সিপিএম এখনও দাদাগিরির মনোভাব ছেড়ে বেড়তে পারেনি। আসনরফা নিয়ে একতরফা সিদ্ধান্ত দাদাগিরির প্রা়মাণ বলে অভিযোগ ছিল তাঁদের। বামফ্রন্ট ভেঙে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করে ফরওয়ার্ড ব্লক। বামফ্রন্ট থাকার প্রয়োজনীয়তা ও কর্মপদ্ধতি নিয়ে লিখিতভাবে শরিকদের জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান বিমান বসু। শুক্রবারের মধ্যে লিখিত জবাব দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয়নি। উপরন্তু শনিবারের বামফ্রন্টের বৈঠক বাতিল করে দেন ফ্রন্ট চেয়ারম্যান।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘যখন তখন ফেসবুকে যা খুশি বলা যায় না’, ‘লাইভ’ নিয়ে মদনকে ভর্ৎসনা মমতার]

আলিমুদ্দিন সূত্রের খবর, বুধবার পার্টির রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীতে তিনি বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে নিতে চাইছেন। আলিমুদ্দিনের এক শীর্ষনেতা জানান, প্রায় ৪৫ বছর ধরে বামফ্রন্ট চলছে। কখনও মনোমালিন্য হয়নি তা বলা যাবে না। কিন্তু বামফ্রন্ট ভেঙে দেওয়ার দাবি কেউ কোনওদিন করেনি। এবার সেই দাবিও উঠল। তাই পার্টি কড়া মনোভাব নিয়েই দাবির পর্যালোচনা করবে। সূত্রের খবর, সিপিএম নেতৃত্ব মনে করছে এখন সংগঠন গড়ে তোলার পাশাপাশি জনসমর্থন পুনরুদ্ধারের কাজ করার সময়। অন্য কোনও পার্টির দায় নেওয়া বা চোখ রাঙানি সহ্য করার সময় নয়। পরিস্থিতির পরিবর্তন হলে তখন আবার ভাবা যাবে। ফলে আগামী সপ্তাহে শরিকরা আলিমুদ্দিনের থেকে কড়া বার্তা পেতে চলেছে সেই ইঙ্গিত মিলেছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: এখন এসব নিয়ে ভাবার সময় নয়! মুকুল অস্বস্তি এড়াতে মরিয়া বিজেপি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ