Advertisement
Advertisement

কলকাতায় এসে নিশ্চিন্তে ‘সন্ধ্যা’ দেখল কাশ্মীরের তরুণ ফুটবলাররা

সিআরপিএফ-এর অভিনব উদ্যোগ।

CRPF brings Kashmiri footballers to Kolkata
Published by: Tanujit Das
  • Posted:July 28, 2018 8:53 am
  • Updated:July 28, 2018 11:38 am

অর্ণব আইচ: কাশ্মীরে তারা সন্ধ্যা দেখতে পায় না। সন্ধ্যার আগেই বাড়ির ভিতর ঢুকে যেতে হয় মকবুল, তনবির, ফইজানদের। বিকেলের আলো শেষ হয়ে কবে যে সন্ধ্যা হতে দেখেছিল মনেও পড়ে না তাদের। বহুদিন পর কলকাতায় এসে সন্ধ্যা দেখল ১৪ থেকে ২৪ বছর বয়সের কাশ্মীরি কিশোর ও তরুণরা। দেখল কীভাবে গঙ্গায় অস্ত যায় সূর্য। দেখল রাতের কলকাতা।

[মানুষের জন্য জোট, নবান্নে বৈঠক শেষে একসুরে বার্তা মমতা-ওমরের]

Advertisement

কাশ্মীরের ৩০ জন ফুটবলারকে কলকাতায় বেড়াতে নিয়ে এসেছিল সিআরপিএফ। এতদিন তারা মেতে ছিল বিশ্বকাপ নিয়ে। এবার পাহাড় ছেড়ে তারা দেখতে এল সমতল। তারা প্রত্যেকে ফুটবল খেলে। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনী তাদের নিয়ে গেল মোহনবাগান মাঠে। তারা গেল ওয়াক্স মিউজিয়াম, ভারতীয় জাদুঘর, নিক্কো পার্কে। বেশিরভাগ ফুটবলারই কাশ্মীরের কুলগাম ও অনন্তনাগের বাসিন্দা। অনন্তনাগের এক কলেজছাত্র ফইজান মহম্মদ জানান, কাশ্মীরের এখন যা পরিস্থিতি, তাতে সারাক্ষণ ভয়ে থাকেন তাঁরা। বিকেলের পর তাঁদের বাড়ি থেকে বের হতে দেওয়া হয় না। অন্ধকার নামার আগেই তাঁদের বাড়িতে ঢুকে যেতে হয়। অন্য এক ছাত্র মকবুলের কথায়, তাঁরা অনেকেই বাড়ি বা পাড়ার কাউকে জানাননি যে, সিআরপিএফ-র সঙ্গে কাশ্মীরের বাইরে বেড়াতে যাচ্ছেন। যদি কোনও জঙ্গি সংগঠনের চর টের পায়, তখন অসুবিধার সামনে পড়বে তাঁদের পরিবারও। তাই কাশ্মীর সমস্যার সমাধান চায় সেখানকার নতুন প্রজন্ম।

Advertisement

[শহরে রমরমিয়ে চোরাই বাইকের কারবার, টাকা যাচ্ছে বাংলাদেশি জেহাদিদের তহবিলে]

ক্রিকেটার ইমরান খানের পাকিস্তানের সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী হওয়া নিয়ে শুক্রবার সল্টলেকের দপ্তরে কাশ্মীরের তরুণ ফুটবলারদের মতামত জানতে চান সিআরপিএফের আইজি শংকরণ রবীন্দ্রণ। উত্তরে কাশ্মীরের ওই ফুটবলাররা জানান, ভারত এক পা এগোলে যে ইমরান খান দু’পা এগোবেন বলেছেন, তাতে খুশি তাঁরা। তাঁরা প্রত্যেকেই কাশ্মীরের সমস্যার সমাধান চান। কাশ্মীরের মানুষ খুশিতে থাকতে চান। তাঁরা চান, আরও পর্যটক আসুক কাশ্মীরে। নতুন প্রজন্ম পর্যটকদের যে কোনও রকমের সাহায্য করতে রাজি। যদিও অনেকেই খুশি নন কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতাদের উপর। আইজি (সিআরপিএফ) তাঁদের বলেন, কাশ্মীরে ‘পাথরবাজি’ একটি বড় সমস্যা। বহু যুবকের বিরুদ্ধে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে পাথর ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। এই যুবক বা তরুণরা যেন কোনওদিন ‘পাথরবাজি’ না করেন। অন্যরাও যাতে না করেন, তাঁদের বোঝানোর দায়িত্বও যেন এই ছাত্ররাই নেন। এদিকে, অন্য একটি প্রশ্নের উত্তরে আইজি (সিআরপিএফ) জানান, এই রাজ্যের জঙ্গলমহলে যাতে মাওবাদী শক্তি কোনওভাবেই আর মাথাচাড়া না দিতে পারে ও আশপাশের রাজ্যের সীমান্ত পেরিয়ে এই রাজ্যে না হানা দিতে পারে, তার জন্য স্ট্র‌্যাটেজি অনুযায়ীই ব্যবস্থা নিচ্ছে সিআরপি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ