অভিরূপ দাস: শহরে ক্রমশ ম্রিয়মান হচ্ছে ডেঙ্গুর (Dengue) সংক্রমণ। পরিসংখ্যান দিয়ে কলকাতা পুরসভা জানাল, অক্টোবরের মাঝামাঝির তুলনায়, শেষ সাতদিনে অনেকটাই কমেছে ডেঙ্গু আক্রান্ত। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এর মূল কারণ বর্ষার বিদায়। বৃষ্টি না হওয়ায় শহরে জল জমছে না। তৈরি হচ্ছে না ‘ওয়াটার পকেট’। পরিস্কার জলেই যে ডিম পারে ডেঙ্গুর বাহক এডিস ইজিপ্টাই মশা।
এদিকে এরই মধ্যে সপ্তাহান্তে থেকে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহাওয়া দপ্তর। পুজো শেষ হয়ে গেলেও শহরের একাধিক জায়গায় দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলের বাঁশ পোঁতা। এখনও খোলা হয়নি একাধিক জায়গার বাঁশ। তার মাথায় জল জমার একটা শঙ্কা রয়েছে। ইতিমধ্যেই দ্রুত বাঁশ খোলার জন্য প্রতিটি পুজো কমিটিকে চিঠি দিয়েছে কলকাতা পুরসভা। পুজোর প্যান্ডেলের জন্য একাধিক জায়গায় গর্ত করা হয়। দ্রুত সেই গর্তগুলো বোজাতে ব্যবস্থা নিতে চলেছে কলকাতা পুরসভা।
মেয়র ফিরহাদ হাকিম এদিন জানিয়েছেন, “পুজো কমিটিগুলোকে বলব, প্যান্ডেলগুলো খুলে ফেলুন। সারা বছর ধরে এই কাজ করবে না। কালীপুজোর আগে রাস্তার গর্তগুলো বুজিয়ে দিতে হবে।” কলকাতা পুরসভার পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানুয়ারি থেকে শুরু করে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত কলকাতায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১১ হাজার ৪৪১। পুজোর সপ্তাহেও শহরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছিল তেরোশো। মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, শেষ সাতদিনে তা এক হাজার। বৃষ্টি না হলে এই সংখ্যাটা পাঁচশোয় গিয়ে দাঁড়াবে বলে জানিয়েছেন মেয়র।
পাশাপাশি আমজনতাকে সচেতন হওয়ার ডাক দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। মেয়র এদিন বলেছেন, মানুষ যদি সচেতন হত, যেখানে সেখানে থার্মোকলের বাটি, প্লাস্টিকের গ্লাস না ফেলত তাহলে মশা ডিম পারার জায়গা পেত না। এই এক হাজার জনও ডেঙ্গু আক্রান্ত হত না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.