সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্যালেন্ডার বলছে ফাগুন। মধুমাস। কিন্তু মালুম হচ্ছিল যেন ভরা জৈষ্ঠ। এতটাই রোদের তাপ! বাইরে বের হওয়া রীতিমতো কঠিন ছিল। রবিবার ছুটির দিনটায় এভাবেই গরমে জেরবার হয়েছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলা। এদিকে রাত ঘনাতেই ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে দোসর বৃষ্টি। সোমবার সকালেও কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় হালকা বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হয়েছে রাজ্যের একাধিক জেলাতেও।
[বাবা-মাকে খুনের চেষ্টা! পিজি-র চিকিৎসায় ‘শাপমুক্ত’ ঢাকার যুবক]
আবহাওয়া দপ্তরের আধিকারিকদের বক্তব্য, গত কয়েকদিন ধরে জোড়া সংকট চলছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের উপর দিয়ে। হাওয়া অফিসের অধিকর্তা গোকুলচন্দ্র দাস রবিবারই বলেন, “বিহার থেকে অসম পর্যন্ত গভীর নিম্নচাপ চলছে। ফলে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প ঢুকছে। তাই এমন গুমোট আবহাওয়া।” রবিবার কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি বেশি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার সর্বোচ্চ পরিমাণ ৮৬ শতাংশ। মনে করা হচ্ছে, এই গুমোট থেকেই মেঘের সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে ভরা ফাগুনে বৃষ্টির সম্মুখীন রাজ্যবাসী। বৃষ্টির জেরে অবশ্য তাপমাত্রা কিছুটা কমবে। সোমবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি সেলিসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকবে বলে জানা গিয়েছে।
[জলদাপাড়ায় ফের চোরাশিকারিদের দৌরাত্ম্য, বাইসন মেরে দুই পা কেটে চম্পট]
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই বর্ধমান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়ার মতো জেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টিপাত হয়েছে। নিম্নচাপের প্রভাব পড়েছে ঝাড়খণ্ডেও। এ বৃষ্টিতে ক্ষণিকের জন্য তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও অদূর ভবিষ্যতে বেশ ভালই গরমের আঁচ পাবেন রাজ্যবাসী। আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনায় অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বাড়ছে জলবাহিত রোগ। ফলে এই সময় খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
[ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু, জরিমানা শহরের দুই নামী হাসপাতালকে]