Advertisement
Advertisement

Breaking News

বাঘাযতীনের পর এবার ঢাকুরিয়া-হালতুতে ডায়েরিয়া, ছড়াচ্ছে তীব্র আতঙ্ক

অন্তত আধ ঘণ্টা জল ফুটিয়ে খাওয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের।

Diarrhoea spread to Dhakuria-Haltu, People under Fear psychosis
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:February 13, 2018 8:51 am
  • Updated:February 13, 2018 8:51 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাঘাযতীন ছাড়িয়ে ডায়েরিয়া ছড়াল ঢাকুরিয়া-হালতু এলাকাতেও। আতঙ্কের গ্রাসে দক্ষিণ কলকাতার বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষ। জল ফুটিয়ে খাওয়া থেকে ওষুধ দিয়ে শুদ্ধ করার মতো নানারকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছেন নাগরিকরা। কিন্তু ত্রাস পিছু ছাড়ছে না। এদিকে আন্ত্রিক আক্রান্ত এলাকায় জলের নমুনা পরীক্ষা করেও সন্দেহজনক কিছু খুঁজে পাননি পুরকর্মীরা।

[ রেললাইনেই তথ্যচিত্রের শুটিংয়ে মগ্ন, ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু দুই ছাত্রের ]

Advertisement

যাদবপুর, বাঘাযতীন ও পাটুলি এলাকায় ডায়েরিয়া ছড়িয়ের পডার কারণ নিয়ে যথেষ্ট ধোঁয়াশা রয়েছে। কলকাতা পুরসভার ৮২টি জলের নমুনায় সন্দেহজনক কিছুই ধরা পড়েনি বলে জানিয়েছেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানান, “পুরসভার পরীক্ষার জল থেকে এই সংক্রমণ ছড়ানোর মতো কিছুই পাওয়া যায়নি। কিন্তু ডায়েরিয়া যে হচ্ছে এবং তার জন্য মানুষ হাসপাতালে আসছে তা ঠিক। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জলের নমুনাগুলি পরীক্ষার জন্য স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে পাঠানো হবে। সঠিক কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা চালাচ্ছে পুরসভা।” এদিকে বাঘাযতীনের বেহাল দশার পর আন্ত্রিক ছড়িয়েছে ঢাকুরিয়া ও হালতু এলাকাতেও। তেলিপাড়া, সেলিমপুর লেন অঞ্চলের শিশু-বৃদ্ধ ও মহিলা মিলিয়ে প্রায় ১০০ জন আন্ত্রিকে আক্রান্ত হয়েছেন। এম আর বাঙুরে ভরতি রয়েছেন প্রায় ৭২ জন। আক্রান্তদের কাউকে স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে, কাউকে আবার প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়েও দেওয়া হয়েছে। সংক্রমণ ছড়িয়েছে নোনাডাঙার বিস্তীর্ণ অঞ্চলেও। মঙ্গলবার সকালেও জলের নুমনা পরীক্ষা করেন পুরকর্মীরা। কিন্তু সেখানেও কোনও জীবাণুর সন্ধান মেলেনি। তা সত্ত্বেও আন্ত্রিক ছড়িয়ে পড়ায় তীব্র আতঙ্কে সাধারণ মানুষ। গোটা এলাকাতে এক ধরনের ‘ফিয়ার সাইকোসিস’ কাজ করছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

 ৯৫ শতাংশ পদের জন্যই চাই আইটিআই ডিপ্লোমা, রেলে নিয়োগ ঘিরে বিক্ষোভ ]

আতঙ্কের জেরেই বোতলের জলের দিকে ঝুঁকেছেন বহু মানুষ। ফলে হু হু করে বেড়েছে জলের বিক্রি। তাছাড়া জল শুদ্ধ করার ওষুধের খোঁজে দোকানে দোকানে ভিড় বেড়েছে। আন্ত্রিকের কারণ নিয়ে ধন্ধে চিকিৎসকরাও। আবহাওয়ার পরিবর্তনের জন্য এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই। কেননা, আন্ত্রিক ছড়ানোর মতো পরিস্থিতি হলে জলের নমুনায় ক্যালিফর্ম ব্যাকটেরিয়ার ন্যূনতম মাত্রা ১০ হতে হবে। কিন্তু পুরকর্মীদের পরীক্ষায় জানা গিয়েছে, জলে ক্যালিফর্ম ১ মাত্রাতেও পাওয়া যায়নি। ফলে জল থেকে আন্ত্রিক ছড়াচ্ছে না, তা প্রায় স্পষ্ট। যদিও কোনও কোনও এলাকার অধিবাসীদের অভিযোগ, জলে বিভিন্ন পোকা পাওয়া গিয়েছে। জল ভাল নয়। কোনও এক এলাকার কিছু মানুষ আক্রান্ত হলেই মুখে মুখে তা ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে ফিয়ার সাইকোসিস বা আতঙ্কের গ্রাসে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের পরামর্শ অন্তত আধ ঘণ্টা জল ফুটিয়ে খাওয়াই বাঞ্ছনীয়।

[ সুখবর! পুজোর আগেই চালু হচ্ছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো পরিষেবা ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ