Advertisement
Advertisement
Dilip Ghosh

বিধানসভায় মমতা-শুভেন্দু সাক্ষাৎ নিয়ে জোর জল্পনার মাঝেই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য দিলীপ ঘোষের

মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে বিধানসভায় তাঁর ঘরে গিয়ে দেখা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

Dilip Ghosh opens up on Mamata Banerjee-Suvendu Adhikari's meeting | Sangbad Pratidin
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:November 26, 2022 11:34 am
  • Updated:November 26, 2022 2:14 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারীর সাক্ষাৎ নিয়ে জোর জল্পনা বাংলার রাজনীতিতে। এবার এই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। 

মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে শুক্রবার বিধানসভায় তাঁর ঘরে গিয়ে দেখা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। সঙ্গে ছিলেন পরিষদীয় দলনেতা মনোজ টিগ্গা, বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল, অশোক লাহিড়িও। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সামান্য আলোচনার পরই বেরিয়ে আসেন তাঁরা। ২০২১ সালে তৃতীয় তৃণমূল সরকার গঠনের পর এই প্রথম রাজ্যের আইনসভার অন্দরে মুখোমুখি হলেন মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতা। যা সাম্প্রতিক কালে নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। শনিবার নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে এসে এ নিয়ে দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) বক্তব্য, “কারও সঙ্গে কারও ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকতেই পারে। বিধানসভা সৌজন্যের জায়গা। সাংবিধানিক ব্যবস্থা। সবাই বসে কথা বলে। আমার তো অন্যায় কিছু মনে হয়নি। আমি নিজেও বিরোধী দলের সঙ্গে সৌজন্য রেখেছি।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: জেলা সভাপতি থাকছেন অনুব্রতই, বীরভূমের নেতাদের সঙ্গে অভিষেকের বৈঠকে ব্লক স্তরে রদবদলের ইঙ্গিত]

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) শুভেন্দু অধিকারীর প্রণাম করা নিয়েও উত্তাল হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। নতুন সমীকরণের জল্পনাও শুরু হয়ে যায়। এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের মত, “ওদের পুরনো সম্পর্ক। অনেকে কালীঘাটে প্রণাম করে আসে। উনি ওখানে করেছেন। এটা পাবলিক ম্যাটার নয়, ব্যক্তিগত বিষয়।” তাঁর এহেন মন্তব্য অত্যন্ত ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

গতকাল ফের কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়েও বিধানসভার অন্দরে সুর চড়ান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ”স্পিকারকে বলব, সর্বদলীয় প্রতিনিধিদল তৈরি করুন। সব দলের প্রতিনিধিরা থাকবে। তাঁরা দিল্লি গিয়ে মন্ত্রীদের কাছে বাংলার হয়ে দাবি করবে। প্রধানমন্ত্রীর কাছেও দাবি করুক, সবাই মিলে উন্নয়নের কাজ করুন।” যদিও মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন দিলীপ। বলেন, “তবে উনি (মুখ্যমন্ত্রী) যে প্রস্তাব দিয়েছেন, চলুন যাই সবাই মিলে দিল্লি থেকে টাকা নিয়ে আসি, তাতে আমার আপত্তি আছে। আমরা টাকা নিয়ে আসব আর সেই টাকায় তিনি মজা করবেন, লোক পুষবেন, এটা হতে পারে না।” 

[আরও পড়ুন: ‘ব্রাত্য বসুর নির্দেশেই অতিরিক্ত শূন্যপদ’, হাই কোর্টে জানালেন শিক্ষাসচিব মণীশ জৈন]

এদিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর নাম না করে বিজেপি সাংসদের খোঁচা, “যাই হোক, যেই করুক, সবই আসলে ওনার ইচ্ছায় হয়েছে। ওঁর ইচ্ছে ছাড়া এ রাজ্যে গাছের পাতাও নড়ে না। যদি কেউ বলে, আধিকারিকরা সব করেছেন, উনি কিছু জানেন না, সেই কথা হজম করা মুশকিল।” এদিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর নাম না করে বিজেপি সাংসদের খোঁচা, “যাই হোক, যেই করুক, সবই আসলে ওনার ইচ্ছায় হয়েছে। ওঁর ইচ্ছে ছাড়া এ রাজ্যে গাছের পাতাও নড়ে না। যদি কেউ বলে, আধিকারিকরা সব করেছেন, উনি কিছু জানেন না, সেই কথা হজম করা মুশকিল।” 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ