সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জীবনের কঠিন লড়াইয়ে হার মেনেছে একজন। হুগলির পোলবায় পুলকার দুর্ঘটনার আটদিন পর মৃত্যুর হাতে নিজেকে সঁপে দিয়েছেন খুদে ঋষভ সিং। তবে তার বন্ধু দিব্যাংশু ভগত কিন্তু ধীরে ধীরে ফিরছে জীবনের পথে। এসএসকেএমের আইসিইউ থেকে তাকে জেনারেল বেডে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে এই খবর জানার পর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে তাঁর পরিবার। বিছানায় শুয়ে আদরের ছেলে আজ মায়ের হাত থেকে খাবারও খেয়েছে। তবে দিব্যাংশুকে আরও কয়েকদিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
১৪ ফেব্রুয়ারি, স্কুল যাওয়ার জন্য পুলকারে উঠে গুরুতর দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ঋষভ, দিব্যাংশুরা। নয়ানজুলিতে উলটে পড়ে আহত হয় চালক-সহ বেশ কয়েকজন। নয়ানজুলির কাদাজল ঢুকে যায় ঋষভ, দিব্যাংশুর পাকস্থলিতে। প্রায় কোমায় চলে গিয়েছিল দু’জনেই। এসএসকেএমের চিকিৎসকরা চিন্তায় ছিলেন এদের নিয়ে। আটদিন পর মৃত্যু হয় ঋষভের। আশা জাগিয়ে সুস্থতার পথে হাঁটে দিব্যাংশু। ঋষভের মৃত্যুর দিন সন্ধেবেলা থেকে চেতনা ফেরে তার। তবে তখনও কথা বলতে পারছিল না। পরেরদিন মায়ের হাতের স্পর্শে চোখ খোলে, ‘মা’ বলে ডেকে ওঠে। ছেলের শারীরিক অবস্থার এই উন্নতিতে পরিবারের পাশাপাশি টেনশনমুক্ত হন চিকিৎসকরাও। বুঝতে পারেন, আর ঝুঁকির কিছু নেই।
রবিবার বিকেল নাগাদ দিব্যাংশুর অবস্থার আরও খানিকটা উন্নতি হয়েছে। মায়ের হাতে খাবার খেয়েছে। পরিজনদের চিনতে পারে, অল্প অল্প কথাও বলে। চিকিৎসকরা তার পরীক্ষা করার পর আইসিইউ থেকে বের করে জেনারেল বেডে স্থানান্তরিত করার অনুমতি দেন। দিব্যাংশুর বাবা গোপীনাথ ভগত জানিয়েছেন যে ছেলে এখন ভাল আছে। সকলকে চিনতে পারছে। আশা প্রকাশ করলেন, দ্রুতই সুস্থ করে ছেলেকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন। এতদিনকার টেনশনের সমাপ্তি হল বলেও নিশ্চিন্ত লাগল তাঁকে। লড়াই তো তাঁরও ছিল। সন্তানসম ঋষভকে যেভাবে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়তে দেখেছেন, তাতে তাঁরও ভেঙে পড়ার কথা। কিন্তু আশায় বুক বেঁধে তিনি নিজের লড়াই চালিয়েছেন। তারই মধ্যে ঋষভের বাবার পাশে দাঁড়িয়ে সান্ত্বনাও দিয়েছেন। আজ সেসবে ইতি। এখন ছেলের হাত ধরে নতুন করে পথচলা শুরু করতে চান গোপীনাথ ভগত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.